ফেসবুক এ্যাড টার্গেটিং স্ট্রাটেজি
আমরা মুলত ডিটেল টার্গেটিং থেকে বিভিন্ন কি ওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুক এ্যাড দিয়ে থাকি এবং সেখানে “Interest” ক্যাটাগরিতে যা আছে সেগুলিই ব্যবহার করে থাকি, যার ফলে কম্পিটিশনে অনেক এ্যাডহারিয়ে যায়, কারন হাজার হাজার এ্যাড কিছু কমন টার্গেটিং কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় “অনলাইন শপিং“, “শপিং এন্ড ফ্যাশন” “ক্লোথিং” ইত্যাদি।
এরকম ভাবে চেস্টা করে যে একদমই কাজ হয় না সেটা নয়, কাজ হয় তবে ব্যাপারটা অনেকটা অন্ধকারে ঢিল ছুড়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রে নিচে কিছু টার্গেটিং স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা করার চেস্টা করছি
রিটার্গেটিং ফেসবুক এ্যাড চালান
রিটার্গেটিং এ্যাড তারাই দেখবে যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে, সেই চেনা-পরিচয়টা বিভিন্নভাবে হতে পারে, মোবাইলের মাধ্যমে হতে পারে, ইমেইলের মাধ্যমে হতে পারে, আপনার ওয়েব সাইট অথবা ফেসবুক পেজের এক্টিভিটি থেকে হতে পারে, আপনার পেজে পোস্ট করা ভিডিও ভিউজ থেকেও হতে পারে, আপনি তাদেরকে নিয়ে অডিয়েন্স তৈরি করে এ্যাড দিতে পারেন।
এখানে একটা কথা বলা জরুরি।
যেমন ধরেন আপনার ফেসবুক পেজে গত ৬ মাসে যারা ভিজিট করেছে তারা আপনার এ্যাডদেখবে, এখন গত ছয় মাসে যারা আপনার পেইজ ভিজিট করেছে তারা সবাই কি আপনার পেজ অনেক সময় নিয়ে ঘুরে দেখেছে? অথবা সব অফার সে স্ক্রল করে করে দেখেছে? এতো টাইম কই মানুষের এখন?
যে আপনার পেজে ভিজিট করেছে সে ৫ সেকেন্ড থাকুক আর ৫ মিনিট আপনি যদি তাদেরকে কাস্টোম অডিয়েন্সে রেখে, এ্যাড চালান তাহলে সেই এ্যাড দেখতে তাকে আপনার পেজে যেতে হবে না, সে তার নিজের টাইমলাইনে আপনার এ্যাড দেখতে পারবে, আর আমরা মূলত কোন নির্দিষ্ট পেজে না গিয়ে নিজস্ব টাইমলাইন স্ক্রল করতে পছন্দ করি। যেটা বুঝাতে চাইলাম আশা করি সেটা বুঝতে পেরেছেন।
আচ্ছা এ এতো গেলো এ্যাড সেটে আপনি কিভাবে টার্গেট করবেন, এখানে আরেকটা ব্যাপার বলতে চাই আপনার যদি মাল্টিপল প্রোডাক্ট থাকে তাহলে আপনি এখানে মাল্টিসেট করে এ্যাড দিতে পারেন, ধরেন আপনার কিছু প্রডাক্টের এ্যাড ছেলেদের দেখানো দরকার, কিছু এ্যাড মেয়েদের দেখানো দরকার, তাহলে মাল্টিসেটে একড়ি সেটে ছেলে দেন, আরেকটি সেটে মেয়ে দেন, বাকি যেমন আছে তেমনই থাকুক।
এখানে জেন্ডার দিয়ে উধারন দিলাম, পার্থক্যটা অন্য জায়গা থেকেও আসতে পারে।
আর এ্যাড বানানোর ক্ষেত্রে আমি বলবো দুইটা এ্যাড কপি বানান, একটাতে মেয়েদের ড্রেস আরেকটাতে ছেলেদের ড্রেস। এখন আপনি বলতে পারেন আলাদা আলাদা এ্যাড বানালেই তো হয় এতো ঝামেলা করার কি দরকার, এখানে আমি বলবো একই এ্যাড বিভিন্ন প্রডাক্ট দেখানো গেলে সেটাই করেন, কারন আপনার এক সাথে একাধিক এ্যাড চলতে থাকলে তারা নিজেদের সাথে কম্পিটিশন শুরু করে দেয়, তখন একটা এ্যাড এর পারফর্মেন্স হয়ে যায় ভালো আরেকটা এ্যাড কম্পিটিশনে টিকে থাকে না।
এই হলো যারা আপনাকে চিনে আগে থেকে তাদের নিয়ে এ্যাড বানানো, কিন্তু যারা আপনাকে একদমই চিনে না? যাদেরকে আমরা কোল্ড অডিয়েন্স বলে থাকি তাদের ব্যাপারে কি হবে?
এখানেও প্রচলিত নিয়মে ডিটেল টার্গেটিং থেকে কি ওয়ার্ড না দিয়ে আপনি যে কাস্টোম অডিয়েন্স তৈরি করেছেন, সেটা আপনার সুবিধামত যেখান থেকেই করে থাকেন সেই কাস্টোম অডিয়েন্স দিয়ে লুকে লাইক অডিয়েন্স অডিয়েন্স তৈরি করে এরপর এ্যাড চালান। লুকে লাইক অডিয়েন্স কিন্তু আপনাকে আগে থেকে চিনে না, তারা হচ্ছে যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে তাদের মতই এক্টিভিটি, ডেমোগ্রাফিক ইত্যাদি মিলে যাওয়া মানুষজন।
একটা উদাহারন
ধরেন আপনি ক্রিকেট ব্যাট বিক্রি করবেন, সে জন্য কাস্টোম অডিয়েন্স করেছেন যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে, এরপর আপনি লুকে লাইক অডিয়েন্স তৈরি করলেন তখন ফেসবুক কিছু অডিয়েন্স দিয়ে ডাটাবেজ তৈরি করে দিবে আপনাকে যেখানে তারা থাকবে যারা ক্রিকেট ব্যাটে কিনতে আগ্রহি, কারন যে কাস্টোম অডিয়েন্স থেকে আপনি লুকে লাইক করেছেন সেখানে অনেকেই ছিলো যারা ক্রিকেট ব্যাটে আগ্রহি।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, একদম নতুন অডিয়েন্সের কাছে এ্যাড দিচ্ছেন তবে এটাকে কিন্তু অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মত ব্যাপার বলা যাবে না, তারা হয়তো আপনাকে চিনে না তবে তারা আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহি।
ফেসবুক এ্যাড আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এবং হচ্ছে, কারন কম্পিটিশন বাড়ছে, তাই আগে আপনার এ্যাড ভালো পারফর্মেন্স হতো এখন হয় না কেন এরকম যুক্তি দিয়ে বসে থাকলে হবে না, ফেসবুকের সাথে সাথে আপনাকেও আপডেট হতে হবে। সবাই যা করছে সেদিকে গা ভাসিয়ে না দিয়ে সবাই কি করছে না, কোন জায়গাটা খালি আছে কাজ করার জন্য এগুলো খুঁজে বের করে কাজ করার চেস্টা করুন আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
Read More:২ ডলারের ফেসবুক অ্যাড, ফেসবুকের সাথে বাটপারি এবং এর পরিণাম
অফলাইন এবং অনলাইনে বিজনেসে বিনিয়োগ পন্থা
মধ্যবিত্তরা সর্বস্বান্ত হন যে কারণে ! মধ্যবিত্তদের গরিব হওয়া ঠেকাবে কে?
প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রশ্ন
একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি, কাস্টম অডিয়েন্স ক্রিয়েট করার পরে ঐ কাস্টম অডিয়েন্স সিলেক্ট করলে পটেনশিয়াল রিচ আনএভেইলেবল দেখায়, এবং বেশিরভাগ এড রিজেক্ট হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান কি হবে?? বললে উপকৃত হব।
উত্তরঃ
অডিয়েন্সের জন্য এ্যাড রিজেক্ট হবার কথা আগে শুনি নাই, তবে সেই এ্যাড যে অডিয়েন্সের জন্যই হচ্ছে কিনা সেটা দেখার প্রয়োজন, কারন অনেক ছোট ছোট কারনেও এ্যাড রিজেক্ট হয়ে যায় ।
আর আনেভাইলেবল ই দেখাবে কারন আপনি যখন ফেসবুককে বলছেন কোন সোর্স থেকে অডিয়েন্স বানানোর জন্য তখন সেটা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হয়ে যায় না, ধীরে ধীরে হয়। আপনার অডিয়েন্সে কত মানুষ ফেসবুক পেলো সেটা অ্যাাড ম্যানেজার থেকে অডিয়েন্স থেকে দেখে নিতে পারেন।
Read More:
বুদ্ধিমান মানুষ হওয়ার সহজ কিছু কৌশল জেনে নেই!
মানুষ সৃষ্টি মাটি থেকে, কোরআন এবং বিজ্ঞান এর প্রমাণ ও ব্যাখ্যা
অতীত ভোলার উপায় কী? কষ্ট কমানোর জন্য কি কি করতে হবে?
You must log in to post a comment.