অ্যালঝেইমার ডিজিজ হলো ডিমেনশিয়ার একটি সাধারন রূপ। এই সমস্যা তীব্র অবস্থায় চলে গেলে এটি রোগীকে তার দৈনন্দিন কাজ করতে, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনকে চিনতে এবং কোনো কথা বুঝতে বাধা দেয়।এটি একটি মারাত্নক রোগ যা সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করে । আলঝেইমারস ব্রেনের ক্ষয়জনিত রোগ বা মেধাশক্তি কমে যাওয়া, এটা কোন মানসিক রোগ নয়। মানসিক রোগ সেটাকেই বলা হয় যেখানে ব্রেন স্ট্রাকচার স্বাভাবিক কিন্তু আচরন অস্বাভাবিক থাকে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির বুদ্ধি, স্মৃতি ও ব্যক্তিত্ব ক্রমান্বয়ে লোপ পায় ।সাধারণত, প্রবীণদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি দেখা যায় এবং হঠাৎ করে অনেক কিছুই মনে করতে পারেন না। ফলে তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। বয়সের সাথে অস্বাভাবিক মাত্রার ভুলপ্রবনতা দৈনন্দিন ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে।

 

আজকে আলোচনা হবে জীবনে যে সকল কাজ করলে মেধাশক্তি কমে যায় বা বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি।এবং এই কাজগুলোর মধ্যে কোন কাজ সঠিক ভাবে করতে সক্ষম হই। আবার কোন কোন কাজ আছে যেগুলো আমরা ভুলভাবে করে ফেলি।কিংবা কোন কোন কাজ আছে যেগুলো আমরা করতেই পারি না।তো চলুন আর দেরি না আজকের আলোচনার মধ্যে আমরা চলে যাই।এবং জীবনে যে সকল কাজ করলে মেধাশক্তি কমে যায় বা বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক↓

প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমালেঃ

প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমানোটা হলো বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।ঘুম সম্পর্কে নতুন করে আর ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার কোন দরকার নেই।এই প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ঘুম কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা প্রত্যেকেই খুব ভাল করেই জানি।এবং যদি একজন মানুষ সঠিকভাবে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না ঘুমান।তাহলে সে মানুষটা খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।এটাই স্বাভাবিক এবং এটা নতুন করে বলার কিছু নেই।তবে হয়তো বা আপনারা জানেন না এই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না ঘুমালে মানুষের মেধা শক্তি হ্রাস পায়। এবং আমি আগেই বলছি পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো টা হল বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। অর্থাৎ আপনি বলতে পারেন বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ এর মধ্যে এই প্রধান কারণটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না ঘুমানো। আমরা জানি ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সেইসাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ঘটবে।

 

আরও পড়ুনঃ

বুদ্ধিমান মানুষ হওয়ার সহজ কিছু কৌশল জেনে নেই!

উনবিংশ শতাব্দী সময়ের আজব সব চিকিৎসা ব্যাবস্থা ও অপারেশন পদ্ধতি

অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস করলেঃ

আমার দৈনিন্দন জীবনের নানান ধরনের খাবার খেয়ে থাকি।আর সে খাবার গুলোর দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পারি।আমরা যে খাবারগুলো খাই তার বেশিরভাগ খাবারে জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার।এবং এই জাঙ্ক ফুড খাবার কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।আপনি বলতে পারেন যে কাজগুলো করলে বুদ্ধি কমে যায় বা মেধাশক্তি হ্রাস পায় তার একটি কাজ বা কারণ হলো এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া।তাই আমাদের উচিত খাবার তালিকা থেকে কিছু পরিমাণ হলো  জাঙ্ক ফুড খাবার গুলো কে ত্যাগ করা বা বর্জন করা।তাহলে আমরা আমাদের মেধা শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারব এবং মেধা শক্তি হ্রাস হওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।

শরীরচর্চা না করলেঃ

শরীরচর্চা না করাটা ও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। এই সঠিকভাবে শরীরচর্চার না করলেও কিন্তু বুদ্ধি কমে যায় বা মেধা শক্তি হ্রাস পায়।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সঠিক ভাবে শরীরচর্চা করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শুনলেঃ

বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন যারা কিনা হেডফোন কানে লাগিয়ে উচ্চশব্দে গান শুনে থাকেন তবে এতে দেখা গিয়েছে হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনাটা বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত হেডফোন কানে দিয়ে উচ্চস্বরে গান শোনা বন্ধ করে দেওয়া

আরও পড়ুনঃ

কিভাবে বুঝবেন আপনার কাছের মানুষ মানসিক রোগ এ আক্রান্ত কি না?

বুদ্ধিমান বা স্মার্ট হওয়ার কিছু সহজ উপায় বা কার্যকরি পন্থা

ধূমপানে আসক্ত হয়ে গিয়ে আর তা ছাড়তে না পারাঃ

বর্তমান সময়ে এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের কোন অভাব নেই। এবং এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।এবং বর্তমান সময়ে ছোট বড় সবাই এই ধুমপানে আসক্ত হয়ে উঠছেন।এবং এই ধূমপানে আসক্ত হওয়াটাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই ধুমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখা। ধুমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখার মাধ্যমে কিন্তু মেধাশক্তির হ্রাস থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব।

 

নিঃসঙ্গতায় বা একাকীত্বে ভুগলেঃ

এই নিঃসঙ্গতায় বা একাকীত্বে ভুগটাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বের মধ্যে যে ছিল বা ছিলেন তারাই ভালো করে বুঝতে পারবেন এই নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্ব বিষয়টা। একাকীত্ব জীবন যাপন টা হচ্ছে স্লো পয়জনিং এর মত।যেটা আপনাকে ধীরে ধীরে এবং তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।এবং সেইসাথে আপনার মেধা শক্তিকে হ্রাস করে ফেলবে।এবং এই একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা আপনার বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ এর শ্রেষ্ঠত্ব কারণ হয়ে উঠতে পারে।এবং আমরা প্রত্যেকেই আরো জানি একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা অবস্থায় থাকলে যেকোনো রোগ খুব দ্রুতই আক্রমণ করতে পারে।

প্রাকৃতিক আলোর অভাবেও এমন হতে পারেঃ

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রাকৃতিক আলোর অভাবে মানুষের মেধা শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। তাই আমাদের এই প্রাকৃতিক আলো সংস্পর্শে থাকা উচিত। এবং এই প্রাকৃতিক আলোর অভাব টাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই প্রাকৃতিক আলো সংস্পর্শে জীবন যাপন করা।

আমার মনে হয়,,দৈনন্দিন জীবনে উক্ত বদ অভ্যাসগুলোর কারণে মেধাশক্তি হ্রাস পায়। এবং উক্ত এই বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধা শক্তিকে হ্রাস থেকে মুক্তি করতে পারি।তাই আমরা প্রত্যেকেই উক্ত বদ অভ্যাস গুলো খুব দ্রুতই ত্যাগ করার চেষ্টা করব।

বন্ধুগণ এই ছিল জীবন আপডেট পর্বের আজকের আলোচনা এবং আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। যদি আমাদের আজকের এই আলোচনায় আপনি কিছুটা উপকৃত হন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন।

ভালো লাগলে লাইক করুন এবং শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে

আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন

ধন্যবাদ।।

আরও পড়ুনঃ
সাপে কাটলে কি করতে হবে? সাপ নিয়ে আমরা মুভিতে যা দেখি কতটুকু সত্যি!

মধ্যবিত্তরা সর্বস্বান্ত হন যে কারণে ! মধ্যবিত্তদের গরিব হওয়া ঠেকাবে কে?

 

%d bloggers like this: