Fiverr প্রতিষ্ঠা করেছিলেন Micha Kaufman এবং Shai Wininger আর এটি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাতা এমন একটি বাজারের ধারণা নিয়ে এসেছিলেন যা লোকেরা সাধারণত ফ্রিল্যান্স দ্বারা প্রদত্ত বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবাদি ক্রয় ও বিক্রয় করার জন্য একটি দ্বিমুখী প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করবে।
আসুন এবার জনে নেই ফাইভার এর কিছু কমন প্রশ্ন এবং তার উত্তর
১। আমি কাজ পারি, এখন কিভাবে ফাইভারে একাউন্ট খুলবো এবং একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে ?
উত্তরঃ কিভাবে একাউন্ট খুলবেন সেটার জন্য ইউটিউবে সার্চ দিন এবং একটি টিউটোরিয়াল দেখে একাউন্ট খুলে নিন। একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটা মেইল একাউন্ট লাগবে।
২। আমি কি একটা মেইল দিয়ে ২ টা একাউন্ট খুলতে পারবো ?
উত্তরঃ না আপনি ১ টা মেইল দিয়ে ২ টা একাউন্ট খুলতে পারবেন না।
৩। আমি কি একই পিসি দিয়ে একাধিক একাউন্ট খুলতে পারবো ?
উত্তরঃ আপনি একটী পিসি দিয়ে একাধিক একাউন্ট খুলতে পারবেন কিন্তু একটী একটি একাউন্ট ডিজেবল হওয়ার পর অবশ্যই উইন্ডোজ দিয়ে আবার নতুন একাউন্ট খুলে নিবেন।
৪। আমার একাউন্টে কি যে কোন পিকচার ব্যবহার করতে পারবো ?
উত্তরঃ হ্যা পারবেন ।
৫। আমার একাউন্ট কি মোবাইল এপ্স এবং পিসি দিয়ে একই সাথে লগিন রাখতে পারবো ?
উত্তর ঃ হ্যা পারবেন।
৬। আমার একাউন্ট কি একাধিক পিসি দিয়ে লগিন করতে পারবো ?
উত্তরঃ হ্যা পারবেন কিন্তু অবশ্যই সেই পিসিতে অন্য কোন একাউন্ট লগিন করা যাবে না। অর্থাত একটী একাউন্ট একাধিক পিসিতে লগিন করতে পারবেন কিন্তু একাধিক একাউন্ট কোন পিসিতে লগিন করতে পারবেন না। এবং একই সময়ে আপনার একাউন্ট একাধিক জায়গায় লগিন রাখতে পারবেন না।
৭। একাউন্টে কি যে কারো ইনফরমেশন ব্যাবহার করতে পারবো ?
উত্তর ঃ হ্যা পারবেন কিন্তু নিজের ইনফরমেশন ব্যাবহার করাই ভালো ।
৮। সিকিউরিটি কোয়েশ্চন ভুলে গেলে কি করবো ?
উত্তর ঃ সরাসরি সাপোর্টে যোগাযোগ করবেন।
৯। একাউন্ট নাম কি যে কোন নাম ব্যাবহার করতে পারবো ?
উত্তর ঃ হ্যা পারবেন তবে নিজের নাম ব্যাবহার করাই ভালো ।
১০। একাউন্ট এ কি নিজের পোর্টফোলিও এড করতে পারবো ?
উত্তরঃ হ্যা পারবেন। তবে কোন ধরনের ওয়েব সাইট ব্যাবহার করবেন সেটা ফাইভার সাপোর্টে এ ম্যাসেজ দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।
১১। গিগ কিভাবে তৈরি করবো ?
উত্তরঃ কিভাবে গিগ তৈরি করবেন তার জন্য ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল আছে দেখে নিন।
১২। গিগ এর ইমেজ হিসেবে কি ব্যাবহার করবো ?
উত্তর ঃ আপনার ক্যাটাগরি রিলেটেড গিগ ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। গিগ ইমেজ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে দিবেন যেন গিগ ইমেজ দেখেই বায়ার গিগ নিতে আগ্রহী হয়।
১৩। গিগ এর টাইটেল এ কি ব্যাবহার করব ?
উত্তর ঃ আপনি যে ক্যাটাগরি রিলেটেড কাজ করবেন সেই ক্যাটাগরির ভালো মানের কিছু গিগ নিয়ে কিছুদিন রিচার্স করেন। এবার সুন্দর করে একটা গিগ টাইটেল ব্যাবহার করেন।
১৪। গিগ এর ডিস্ক্রিপশন এ কি ব্যাবহার করবো ?
উত্তর ঃ গিগ এর ডিস্ক্রিপশন এ আপনার সার্ভিস সম্পর্কিত তথ্য সুন্দর ভাবে ব্যাবহার করেন। ডিস্ক্রিপশন এ আপনার কোন কন্টাক্ট ইনফো ব্যাবহার করবেন না। (মেইল, মোবাইল নাম্বার, ফেসবুক, স্কাইপ , ইত্যাদি।)
বিষয় ঃ বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নঃঃঃ
১। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কি ফাইভারে কাজ করা যাবে?
উত্তরঃ অবশ্যই যাবে। ফাইভারে সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডের কোনো দরকার পড়েনা। যদি একাউন্ট নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়, সেক্ষেত্রে কোনো ভেরিফিকেশন এর জন্য দরকার হতে পারে। তাছাড়া নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
২।নতুন ফোন কিনছি। নতুন করে Fiverr Apps টা ইন্সটল করতে চাচ্ছি। কোনো প্রব্লেম হবে কি??
উত্তরঃ না কোন সমস্যা হবে না।
৩। ফাইভারে একটা একাউন্ট ব্যান হইসে। নতুন করে Windows দিয়ে আরেকটা আইডি খুলেছি।আমার সেল্ফ ফোনে নতুন আইডি লগ ইন করলে প্রবলেম হবে কি?
উত্তরঃ কোন সমস্যা হবে না তবে ফোন রিস্টোর দিয়ে নিলে ভালো হবে।
৪। একাউন্ট ডিসেবল দেখাচ্ছে , এটা কি ঠিক হবে নাকি পারমানেন্ট ডিসেবল হয়ে গেছে ?
উত্তরঃ ডিজেবল একাউন্ট ফিরে পাবার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তবে সাপোর্টে মেসেজ দিয়ে দেখা যেতে পারে। উপযুক্ত প্রমান দিলে ফিরিয়ে দিতেও পারে একাউন্ট।
৫। ফাইবারে নতুন গিগ বানাচ্ছি। ভিউ হচ্ছে এভারেজ কিন্তু কোন রেসপন্স পাচ্ছি না। কি করা যায় ?
উত্তরঃ বেশি করে বায়ার রিকুয়েস্ট পাঠান এবং গিগ অপটিমাইজ করুন।
৬। আস্সালামু আলাইকুম,,,,ভাই পেপ্যাল থেকে বাংলাদেশের ব্যংকে টাকা তোলার সিসটেম ?
উত্তরঃ পেপাল থেকে সরাসরি পেপাল এ সেল করে দিলে ভালো রেট পাবেন। তাছাড়া পেইনিওর এও ট্রান্সফার করা যায় পেপাল থেকে।
৭। আমার একটা গিগ এ ইম্প্রেশান এবং কমপ্লিট করা অরডার কমে যাচ্ছে। কেউ বলতে পারেন এর সমাধান কি?
উত্তরঃ এই সংখ্যাটা আপনার প্রতি সপ্তাহ / মাস এ আপডেট হয় অর্থাৎ আপনি এই মাসে/সপ্তাহ/বছর কতগুলো অর্ডার কমপ্লিট করেছেন সেটা দেখাবে। আপনি যদি চলতি মাসে কোন অর্ডার কমপ্লিট না করেন তাহলে এটা কমই দেখাবে।
৮। আমি Fiverr এ নতুন। আমি জানতে চাইছি যে Fiverr এ $ active হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর ১৪ দিন সময় লাগে ডলার একাউন্টে শো করতে।
৯। আমার একটি গিগ প্রথম পেইজে আছে। এই অবস্থায় আমি যদি আমার গিগের ভিডিও চেঞ্জ করে নতুন একটি দেই, তাহলে কি গিগের র্যাংকিং-এ প্রবলেম হতে পারে?
উত্তরঃ গিগ এর ট্যাগ/টাইটেল/ডিস্ক্রিপশন ছাড়া অন্য কিছু পরিবর্তন করলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
১০। আমি অন-লাইনে আছি কিন্তু গিগ এ গেলে আমাকে অফ-লাইন দেখাচ্ছে কেনো?
উত্তরঃ কিছুক্ষণ পরপর রিলোড দিন। আবার অনলাইনে দেখাবে।
১১। আমার WI-FI নাই,আমি কি ২/৩ টা সিমে MB নিয়ে ব্যবহার করতে পারব কি Fiverr ?
উত্তরঃ জি পারবেন।
১২। standard load এ fiverr থেকে payoneer এ টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে? আর payoneer থেকে bank এ আসতে?
উত্তরঃ ২/৩ দিন সময় লাগে।
১৩। Captcha test shows again and again in my Fiverr account. It is boring for me. Now how can I avoid it?
উত্তরঃ এটা শেয়ার আইপি ব্যাবহার করার জন্য দেখাইতেছে।
১৪। TOS violations বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ফাইভারের কোন নিয়ম / রুলস ভংগ করাকে TOS violation বলে।
১৫। কোন বায়ার যদি আমার কাজের কোন স্যাম্পল ছবি দেখতে চাই আমি কি মেসেজে ছবি দেখাতে পারবো ?
উত্তরঃ জি পারবেন।
১৬। আমার কোনো আত্মীয় যদি UK থাকেন আমি কি উনার নামবার ব্যাবহার করে ফাইবার আইডি খুলতে পারবো?
উত্তরঃ জি পারবেন তবে নিজের দেশের নিজের নাম্বার ব্যাবহার করাটাই ভালো হবে । হয়তো ভেরিফিকেশন সমস্যায় পড়তে পারেন।
১৭। গিগ এর ইমপ্রেশন বাড়াবো কি করে ?
উত্তরঃ Social Site এ গিগ শেয়ার করুন বেশী বেশী ।
১৮। আমার মনে হয় Requirement লিখা হয় না। অন্যদের Requirement আমি খুজে পাই না । সব কিছুই পাই but ওটা পাই না। আমাকে জানাবেন কোথাই click করলে পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ Requirement শুধু buyer যখন order করবে তখনই buyer দেখতে পারবে ।
১৯। আমি কিভাবে ফাইভার একাউন্ট ডিজেবল প্রতিরোধ করবো ?
উত্তরঃ নিয়ম না ভাঙ্গলে ডিজেবল হবে না। ওদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স ভাল করে পড়ুন।
২০। কিভাবে সহজ উপায়ে আইডি সবসময় ওপেন রাখবো ? কারন পিসিতে ১/২ মিনিট পর পর রিলোড না দিলে অফ-লাইন হয়ে যায় । কোনো উপায় আছে কি ?
উত্তরঃএটা আসলে রিলোড দিয়ে দিয়ে একটিভ থাকা ভালো , আপনি chrome browser এর auto refresher নামে একটি extension আছে ওটা ব্যাবহার করতে পারেন ।
২১। আমার ফাইভার একাউন্ট এর বয়স প্রায় ১ বছর.কিন্তূ কোন অর্ডার পাই নি। কি করা যায় ?
উত্তরঃ Buyer request পাঠিয়ে যান regular.Skilled হলে অবশ্যই কাজ পাবেন !! বেশি বেশি আপনার গিগ শেয়ার করে সার্চ লিস্টের প্রথম দিকে আনার চেস্টা করুন।
২২। একটা payoneer একাউন্ট, একাধিক Fiverr account এ এ্যাড করা যাবে কি?
উত্তরঃ একই সাথে দুই একাউন্টে যাবে না। এনি টাইম বেন খাবার সম্ভাবনা আছে। তবে যদি এমন হয় আগের একাউন্টে এড ছিলো ওটা কোন কারনে বেন হয়ে গেছে এখন নতুন একাউন্ট খুলেছেন সেক্ষেত্রে এড করতে পারেন।
২৩। আমার ফাইভার গিগ এর impression, click and view বাড়ছে কিন্তু মেসেজ আসছেনা, কেন ?
উত্তর ঃ ক্লিক ভিউ পাচ্ছেন অর্থাৎ আপনারর গিগ দেখা হচ্ছে কিন্তু গিগ পড়ে কেউ অর্ডার করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তার মানে আপনার গিগ ডিস্ক্রিপশন অথবা গিগের প্রাইস অথবা অফারগুলো তাদের ভাল লাগছে না। এগুলো নতুন করে এডিট করুন। কম্পিটিটরদের সাথে আপনার গিগের মান কম্পেয়ার করুন। কপি না করে তাদের সম পরজায় এর সার্ভিস তাদের চাইতে বেটার ওয়েতে অফার করুন।
২৪। আমার ল্যাপটপ একটা কম্পিউটার একটা কিন্তু আইপি একটাই, এখন আমি কি ২ টা আইডি ব্যাবহার করতে পারবো ? মানে একটা আমার Wife একটা আইডি তে কাজ করবে ।
উত্তর ঃ ভাই ভাবী কাজ করতে পারবে বাট অন্য কাটাগরীতে… আপনি মার্কেটিং এর হলে ভাবী গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারবে। দুইজন ই সেম ক্যাটাগরি তে কাজ করলে দুইজন এর আইডিই যাবে!
২৫। আমার বেস্ট সেলার গিগ হটাত করে ই মডিফিকেশনের জন্য ওয়ার্নিং দিছে এবং গিগ এক্টিভ এ নাই।
উত্তরঃ হয়তো এমন কিছু শব্দ গিগ এর ট্যাগ/টাইটেল/ডিস্ক্রিপশন এ আছে যার জন্য মডিফিকেশন এ দিছে। যেটা এডিট করতে বলে সেটা এডিট করে দিন। ঠিক হয়ে যাবে।
২৬। ফাইভার একাউন্ট ব্যান হওয়ার ৯০ দিন পর $$ উইথড্র করার জন্য যে একাউন্ট একটিভ করে দেয়, তখন কি ওই সময়টুকু সব ধরনের কাজ করা যাবে? বিশেষ করে, কাউকে মেসেজ দেওয়া যাবে ওই সময়টুকু তে?
উত্তরঃ না এই সময় শুধু ডলার উইথড্র দেয়া ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবেনা।
২৭। ফাইভার এ Response time 7 hours. কি করে কমানো যায়?
উত্তরঃকেও message করলে quick reply দিবেন,তাহলে ঠিক হয়ে যাবে । আর এ জন্য আপনাকে বেশি বেশি এ্যাকটিভ থাকতে হবে ।
২৮। একটি রাউটার বা একই wifi এর অধিনে কয়টি ফাইবার একাউন্ট চালানো যায়???
উত্তরঃ আপনি একই রাউটারে একাধিক ফাইভার একাউন্ট চালাতে পারবেন তবে অবশ্যই প্রতিটি একাউন্ট আলাদা ডিভাইস এবং প্রতিটি একাউন্ট এর ক্যাটাগরি আলাদা হতে হবে। অর্থাৎ একটী একাউন্টের গিগ যে ক্যাটাগরির হবে অন্য একাউন্ট এর কোন গিগ সেই ক্যাটাগরির হওয়া যাবেনা। তবে একই রাউটারে না চালানোই ভালো হবে।
মুঠোফোনের বা কম্পিউটারের দু-একটা বোতাম চাপলেই পণ্য চলে আসবে আপনার দুয়ারে। শুধু ই-কমার্স নয়, এর বাইরেও ইন্টারনেটে আছে নানা ধরনের ব্যবসা।
আপনার চারপাশেই ছড়িয়ে আছে সেসব ব্যবসার কৌশল। বুদ্ধি করে নেমে যেতে পারেন নতুন কোনো ধারণা নিয়ে। তবে যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে চাইলে দরকার নানা ধরনের পরামর্শ। অনেক সময় অফিসের জন্য জায়গা বা কৌশলের অভাবেও অনেকে শুরু করতে পারেন না।
একবার ভাবুন তো! যদি অফলাইনে কাল একটা বিজনেস শুরু করেন, আপনি কী করবেন? কোন এক রাস্তার পাশে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন? একটা ভাল লোকেশনে দোকান নেবেন, যেখানে লোকজনের আনাগোনা আছে। তাই না?
একটা কসমেটিক্স এর দোকান দিতে চাচ্ছেন, কোথায় দেবেন?
নিশ্চয় পাড়ার ক্যারাম বোর্ডের আড্ডার পাশে, যেখানে বখাটেদের আখড়া তাই না?
লেডি কাস্টমার আসবে?
অনলাইন বিজনেসে কি ভাল একটা দোকান খোঁজেন? মানে কার্যকরি ওয়েবসাইট বানান?
ট্রাফিক এ্যানালাইসি করে টার্গেট অডিয়েন্স বোঝার চেষ্টা করেন? ধুপ করে তো যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে বেচা শুরু করেন।
মানে আপনার শপ লোকেশন নেই, লিফলেট বিলিয়েই যাচ্ছেন, বিলিয়েই যাচ্ছেন… আপনার পেইজ থেকেই সবাই কিনবে? ক’দিন আগেও কিনতো… এখন কেনে না। যার টাকা নেই সে তো দারাজ থেকেও কেনে না।
কিন্তু যার আছে, সে কেন আপনার পণ্য কেনে না? মাথায় এসেছে একবারও?
একটা আইটেমের জন্য আপনার দোকানে ক্রেতা এলে তাকে সেই পণ্য থেকে কন্সান্ট্রেশন সরান না… যেন অন্যটা দেখতে গিয়ে কনফিউশনে কেনাকাটাই বাদ না যায়।
সর্বোচ্চ ফোকাসটা দিতে হেল্প করেন। প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করেন… “আপু আপনি কেমন কোয়ালিটির চাচ্ছেন?” কিংবা “একটা লেটেস্ট কালেকশন আছে, লিমিটেড। দেখবো”? সেই আপনিই, অনলাইনে কী করেন? অফলাইনে যেটা করার এক্সাম্পল দিলাম, সেটাকে বলে ফানেলিং।
যখন সেই নির্দিষ্ট আইটেমটা কেনা হয়ে যায়, বলেন- “এটা দেখতে পারেন… এই নেকলেসটা আপনার দুলের সাথে চমৎকার মানাবে”। এটা আপ সেল। আর লাস্ট পেমেন্টের টাইমে যে লাস্ট পার্সটা লিমিটেড এডিশন বলে বেচার চেষ্টা করেন… সেটা একরকমের ডাউসেল।
যাই হোক। আপনি তো ওয়েবসাইটই বানানোর পক্ষে না, সেলস ফানেলে টাকা এবং সময় খরচ করলে তো আবার রিটার্ন উঠে আসবে। রোজার মাসে চ্যারিটিই করেন তারচেয়ে।
মার্ক সাহেবের ফেসবুক টিম এবং বিনিয়োগকারীরা তো খেয়ে পরে বাঁচুক। ডিরেক্ট প্রোডাক্ট সেল করে ফেলেন, পারলে এ্যাডের মধ্যেই। কোন কল টু একশন লাগবে না।
কোন কনভার্শন ট্র্যাক করতে হবে না। এমনকি কেউ যদি এ্যাডে ক্লিক করে আপনার টাকা কাটানোর পর ফেলে চলে যায়… তাকে রিটার্গেটিংও করতে পারবেন না। ওয়েবসাইট, সেলস ফানেল এবং ট্র্যাকিং না করার বেনিফিট ই আলাদা।
বাই দ্যা ওয়ে, আপনার যাকাতের নিসাব হিসেব করে দেখেছেন…? মানে যা ফেসবুকে দান করছেন… আপনার টার্গেটের থেকে কম দিচ্ছেন না তো!
শুধু বুয়েট, মেডিকেল আর বিসিএস এর নামে কোচিং ব্যবসার মডেল বাদ দিয়ে একটু দেশ ও সমাজ ্এর দিকেও তাকান।
সব কিছুতেই রেস চলছে! বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে! আর দেশ তাকিয়ে দেখছে? না...।
দেশও বিশ্বের সাথে তাল মেলাচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পে দেশ এখন এতটাই এগিয়েছে, মধ্যবিত্ত এখন এইট পাশ ছেলে-মেয়েকে নাইনে না দিয়ে, গার্মেন্টস এ দিচ্ছে।আছে কিন্তু এমন ছোট ছোট অনেক শিল্প কারখানা… শিশুশ্রমও চলছে কিন্তু! একটা ফেইক বার্থ সার্টিফিকেট জমা রাখা বলে কথা।এতে আপনাদের কোন লস নেই, আপনাদের সন্তান তো বড় জায়গায় বড় টাকায় পড়ছে। এই দেশ ও সমাজ ্এর সাথে মানিয়ে যখন নিতে পারবে না? আপনার সন্তান তখন কই যাবে ভাই? এতটা স্বার্থপর ভাবে কেন ভাবেন?
জাতিকে অনেক দিয়েছেন, এর পাপ আপনাদের কয় পুরুষে কাটিয়ে উঠতে পারবে বলতে পারব না, তবে যা কামাই করেছেন তা দিয়ে আপনাদের বেশ কয়েক পুরুষ বসে বসে খেতে পারবে।
এবার তাহলে একটু বেনিফিটের কথা বাদ দেন। আসেন দেশ ও সমাজ এর কিছু সত্যিকারের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলি।
টাউনশিপ প্ল্যানিং নিয়ে সাবজেক্ট প্রণয়ন করেন, পড়া লেখার ব্যবস্থা করেন। ম্যাস ট্রানজিট, ম্যাস পার্কিং, ম্যাস হিউম্যান ফ্লো… এগুলো নিয়ে কি ভেবে দেখেছেন? ভার্সিটি পর্যায়ে রিসার্চের ব্যবস্থা করেন।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা করতে চায় অনেক কিছু দেশ ও সমাজ এর জন্য।
আপনারা বলেন লাগবে না- বই পড়ো, GPA আর CGPA আনো কেবল। তারপর ফ্রেশার গ্রাজুয়েট হিসেবে নিজেকে অযোগ্য ভেবে ঝরে পরো, নয়তো- না বুঝে একেকটা প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেসের বারোটা বাজাও।
ওরই বা কী দোষ? ওর থেকে তো ফাইভ ফেল মেয়েটা গার্মেন্টসে বেশি বেতন পাচ্ছে, যে ওরই বাসায় ঝিয়ের কাজ করত! কত খুন্তির দাগ নিয়ে মেয়েটা আজ এখানে। আর আমরা আমাদের সন্তানদেরকে যোগ্যতা দিতে পারিনি।
এই গল্পেও যারা বুঝতে পারছেন না যে, কেবল পড়ার রেজাল্টে কিছুই হয় না… বাস্তব জীবনে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনেক বড় কিছু… তাদের বলব, একটু খেয়াল করেন।
বেশ কিছু বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে হাতের কাজের দক্ষ কারিগর ছেলে/মেয়েটা আগামী বছর অপারেটর সুপারভাইজার হবে।
আর আপনার ছেলেটা কেবল মাত্র অপারেটিং সিস্টেম আর MS-Office সিভিতে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে, ইন্টারভিউ দেবে।
শুধু আরবান প্ল্যানিং কেন? উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে ভাবেন। সকল গবেষণার দায়িত্ব ভার্সিটির উপরে ছেড়ে দেন। তারা মিঠা পানি আর নোনা পানির জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করুক।
মাছ গবেষণা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তরুণরা কাজ করবে, তাদের প্রফেসরদের সাথে।
এক দশক পরে দেশের জনসংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেই হুঁশ আছে? তাদের পুষ্টি যোগান দিতে আমিষের চাহিদা আপনি অস্বিকার করতে পারেন না।
যদি ভাবেন কেবল ত্রিশালের চাষের মাছ দিয়ে ভবিষ্যৎ উতরে যাবেন… তাহলে ভুল আবারো করবেন।
আমাদের কৃষি নিয়েও ভাবতে হবে। আরো উৎপাদনশীল চিন্তা আনতে হবে। কেবল গার্মেন্টস ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেই সব হয়ে যাবে সেটাও ভুল।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় প্রভাব নাকি পরবে আমাদের দেশে। এটা নিয়েও স্টাডি এন্ড প্রিভেনশন মূলক কার্যক্রম হতে পারে আমাদের শিক্ষার্থী ও দেশ গড়ার কারিগরদের হাত ধরে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের শিক্ষার্থীরাই হতে পারে ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র! আমাদের দেশ ও সমাজ এর বিদ্যাপীঠও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড কেবল খেতাবে নয়, গবেষণা ও অবদানে ছাড়িয়ে যেতে পারে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, স্ট্যানফোর্ড কিংবা হার্ভার্ড কে! চেষ্টা করতে হবে। নিজের আখের গুছালেই হবে না কেবল।অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ রেখে অতিরিক্ত মনিটরিং করে, পেপাল ব্লক রেখে, ক্রিপ্টোকারেন্সি কে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে যা যা করা হচ্ছে সেটা আরো মারাত্বক ভুল। পেয়নিয়রের মাস্টার কার্ড সেল করার জন্য এদেশে ফ্রিল্যান্সার গ্রেফতার হয়। কী ভাবছেন? অর্থনিতিতেও আমরা অনেক পিছিয়ে।
এটার জন্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট অফ কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ , ঢাকা ইউনিভার্সির IBA, সিকিইউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, এফবিসিসিআই, আইসিটি ডিপার্টমেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক… কেউ কি তার নিজ নিজ দায় এড়াতে পারবে?
আমাদের দেশ ও সমাজ এর নীতিমালা কঠিন করতে হবে, তবে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে। আজ যারা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করছেন, ভবিষ্যতে সেই বিনিয়োগ অনেক বড় হয়ে দাঁড়াবে।
অথচ বিষয়টা কেবল আপনাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে বলেই ডিরেক্ট নিষিদ্ধ বলেই ক্ষান্ত হলেন! আমাদের দেশে আইন প্রনয়ণ এবং আইন প্রয়োগ, দুটি বিষয়কেই কঠোর ভাবে নিতে হবে- সব ক্ষেত্রে।
না হলে রাষ্ট্রের, প্রজাদের, এবং প্রজাতন্ত্রের চারকদের উদাসীনতাই পরিলক্ষিত হবে যুগে যুগে।
অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে। মৎস্য গবেষণা, ধান গবেষণা, পাট গবেষণা, প্রোডাক্টিভিটি, সয়েল ফার্টিলিটি… এগুলো নিয়ে কাজ কেবল নির্দিষ্ট গভার্নমেন্ট ইন্সটিটিউটকেই নয়- প্রাইভেট সেক্টরের কোম্পানি থেকে শুরু করে ইউনিউভার্সিটিতে পর্যন্ত করতে হবে।
এতে করে আমরা যেমন সমস্যা গুলোকে সামাল দিতে পারবো, তেমনি একটা সুস্থ ধারা চালু হবে। নবীনরাও সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরতে।
আর সব শেষে বলব, আমাদের সরকারী/প্রশাসনিক কর্তাদের একটু পড়ালেখা করতে। উঁহু, বইয়ের পাতায় নয়… ইউটিউবে। নতুন নতুন বিষয়গুলোর জ্ঞান নিতে। এটাই সত্যি, তাদের পুথিগত বিদ্যার দরুন দেশ ও সমাজ আজ অবকাঠামোগত ক্যান্সারে ধুঁকছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিভার ডেল্টা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ উপসাগর, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত… এত সব রিসোর্স নিয়ে আমাদের করার অনেক কিছুই আছে, প্রয়োজন সদিচ্ছার!
নিজের কিছুঅভিজ্ঞতা: বাংলার সাথে ইংরেজি কেউ রাষ্ট্র ভাষা করা উচিৎ। যাতে এদেশে শিশুরা মায়ের কোল থেকে বাংলার সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে এবং বুঝতে শেখে।
বিদেশে ইংরেজি ভাল করে বলতে এবং বুঝতে না পারার কারনে আমার ছোট ছোট পদে চাকরি করতে বাধ্য হয়। ভারত, ফিলিপাইনে নাগরিকরা ইংরেজি ভাষায় বলতে এবং বুঝতে পারার কারনে, একি শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও বড় বড় পদ দখল করে আছে।
কারন ভারতীয় ফিলিপাইনের ছেলে মেয়েরা ছোট থেকে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে শেখে।কারনে তাদের দেশে ভাষা ইংরেজি। আমার বলার উদ্দেশ্য এই না আমাদের মাতৃভাষা ভাল না।তবে মাতৃভাষার সাথে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে যে ভাষা সেখা জরুরী সেটাও শিখতে হবে।
কানাডায় ভারতীয়রা সহযেই যেতে পারছে।কারন তারা ছোট থেকে হিন্দির সাথে ইংরেজিতে কথা বলে বড় হয়েছে।বাংলাদেশীরা যেতে চাইলেও যেতে পারছেনা কারন তারা ইংরেজিতে তেমন দক্ষ না ।
দুবাইতে বাংলাদেশিদের এ্যাভারেজ বেতন হয় বাংলা টাকায় ৫০-৬০ হাজার। তবে ভারতীয় বা ফিলিপিনোর বেতন হয় চোখ বন্ধ করে দেড় থেকে দুই লাখও।
কারণ তারা এখানে ইংরেজিকে আঁকড়ে ধরে অনেক দূর উঠে এসেছে। বাংলাদেশিরা এখানে হিন্দিকে আঁকড়ে ধরে এটা পাচ্ছে। কারণ হিন্দিটায় আমরা ভারতীয় সংস্কৃতির দরুন নিজের অজান্তেই শিখে ফেলেছি।
আমাদের জীবনের দাম নেই। আমরা আগুনে পুড়ে মরি, পানিতে ডুবে মরি, সড়কে গাড়িচাপায় মরি। মরি কারখানায় কাজ করতে গিয়েও। কোনো ঘটনায় দুই-চারজন মরলে ‘কর্তৃপক্ষের’ কিছু যায় আসে না। সেটা আমলেও নেওয়া হয় না। প্রত্যক্ষদর্শীরা হয়তো একটু আহ্-উহ্ করে, পরে ভুলে যায়।
কোনো ঘটনায় মৃতের সংখ্যাটা ১০/১২ হলে গুরুত্বটা যেন একটু বাড়ে! গণমাধ্যমে খবর হয়। স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন বা জনপ্রতিনিধিরা মৃতের স্বজনদের খোঁজ খবর করেন, কিছু সহায়তাও দেওয়া হয়। যদিও দু-চার দিন-দশদিন পর খবর নেওয়ার আর কেউ থাকে না।
তবে হ্যাঁ, মৃতের সংখ্যাটা ৪০/৫০ ছাড়িয়ে গেল সবাই যেন একটু নড়েচড়ে বসে। টেলিভিশনগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে। মন্ত্রী-এমপি-নেতা কিংবা কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে মৃতের স্বজনদের জড়িয়ে ধরেন, পত্রিকার পাতায় বড় বড় ছবি ছাপা হয়, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্তের সময় বেঁধে দেওয়া হয়, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। ভবিষ্যতে প্রাণহানি রোধে নানা সুপারিশ থাকে প্রতিবেদনে। বড় শক্তির ইশারায় সেই সুপারিশগুলো কার্যত বাস্তবায়নের মুখ দেখে না।
লকডাউন উঠে যাবে হয়ত কয়েকদিন পরই । কেন উঠবে সেটাও পরিষ্কার । হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মরবে। লকডাউন রাখা হয়েছিল ভাইরাসটা যেন ধীরে ছড়ায়, ততদিনে যেন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়ে যায় ।
কিন্তু দুঃখের কথা হলো, পুরো পৃথিবীর ৭০০ কোটির সবার হাতে হাতে এই ভ্যাক্সিন পৌঁছাতে, কম করে হলেও ৩-৪ বছর লাগবে। তাই এমন অনন্তকাল লকডাউন রাখা সম্ভব না, সে যত উন্নত রাষ্ট্রই হোক না কেন । চীন, ইতালিতেও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে লকডাউন ।
তবে আমরা কি এভাবেই মরব ? -Covid-19 Facts-অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রীনা ফ্লোরা
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, হ্যাঁ এবং এটা একদমই প্রাকৃতিক ব্যাপার । প্রতিটা যুগে যুগে এমন Evolution হয়েছে । এক যুগে ‘ডাইনোসর’ ছিল, কিন্তু প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারেনি বলে তারা আজ নেই ।
অথচ সেই জুরাসিক যুগের ‘তেলাপোকা’ এখনো টিকে আছে । কারণ সে নিজেকে Evolve করে, নিজেকে চেঞ্জ করে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পেরেছে । ম্যামথও ছিল তখন, হয়ত ‘ম্যামথ’ তার রূপ চেঞ্জ করেই বর্তমানের হাতি হয়েছে। এগুলাই Evolution.
তো এগুলো বলার মানে কী ? এগুলো জেনে কী করব ?
আমাদেরও প্রকৃতির উপাদানের সাথে Evolve হতে হবে ।COVID-19 এর সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে । আমাদের নিজেদেরও চেঞ্জ হতে হবে । কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই COVID-19 পরিস্থিতিতে টিকে থাকা সম্ভব ।
COVID-19 – Advice for People.
১) অভ্যাসঃ-
বাজে অভ্যাসগুলা ত্যাগ করতে হবে । কথায় কথায় মুখে আঙুল দেয়া, কলমের মুখ কামড়ানো, আঙুল জিহ্বায় লাগিয়ে কাগজ উল্টানো, থুতু দিয়ে টাকা গোনা ইত্যাদি যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে । সাথে মাস্ক পড়তে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । ২০০৩ এ জাপানে সার্স ভাইরাসের মহামারির পর তাদের মধ্যে এই অভ্যাসগুলো গড়ে উঠেছিল, যা আজ খুব ভাল কাজ করছে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে । ধূমপান যথাসম্ভব পরিহার করা ।
২) এনভায়রনমেন্টঃ
আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমরা এমন পরিবেশে আছি । নয়ত এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ কবেই শেষ হয়ে যেত। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা খুব ভালো কাজ করছে । আর্দ্রতা বেশি থাকা মানে বাতাসে ধুলাবালি কম উড়বে । শীতে আর্দ্রতা কম থাকে, চারিদিক শুষ্ক থাকে বলে বেশি ধুলা ওড়ে । এজন্য শীতপ্রধান দেশে এই ভাইরাস হানা দিচ্ছে বেশি । তাই ঠান্ডা/এসি এভোয়েড করতে হবে, এসি রুমের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়।
৩) ইমিউনিটিঃ
এটাই মোস্ট ইম্পোর্টেন্ট COVID-19 এর বিরুদ্ধে লরাই করার জন্যে। এই পুরো পোস্ট লিখার পেছনে এই পয়েন্টটাই দায়ী । হার্ড ইমিউনিটির বিকল্প নাই । আমাদের ইমিউনিটি বুস্ট করতেই হবে । সেটা কীভাবে ?
ফিজিক্যালি এন্ড মেন্টালি ।
ফিজিক্যালিঃ
* নিয়ম মাফিক ঘুমাতে হবে, রাত জাগা খুব খারাপ শরীর ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য । প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে ।
* প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, প্রায় ১৫-৩০ মিনিট । মাসল এক্টিভিটি বাড়াতে হবে ।
• ভাতে কোন ঘোড়ার আন্ডার পুষ্টিও নাই, উল্টা অতিরিক্ত ভাত খেলে আপনি মোটা হবেন । ভাত কম খেয়ে তরকারি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে ।
• প্রচুর পানি খেতে হবে (এটা খুব বাজে অভ্যাস আমরা পানি খেতে চাই না )।
• এন্টি অক্সিডেন্ট-যুক্তখাবার খেতে হবে । শাক সবজি খেতে হবে । প্রয়োজনীয় প্রটেকশন নিয়ে বাজারে যান, নয়ত ইমিউনিটির অভাবে এমনিও মরতে হবে।
• ভিটামিন সি বা টকযুক্ত ফল, কমলা, লেবু খেতে হবে । এছাড়াও সিজনাল ফল খেতে হবে । প্রতিদিন সকালে লেবু সিদ্ধ গরম পানি খান ।
• ফাস্ট ফুড টোটালি অফ, চিনি কিংবা লবণ খাওয়াও কমাতে হবে ।
• আমাদের দেশের মশলাগুলো দারুণ কাজের । লং, লবঙ্গ, জিরা, হলুদ, দারুচিনি এইগুলো মারাত্মকভাবে ইমিউনিটি বুস্ট করে । দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবেন, হলুদ অনেক কাজের । চায়ে মশলা মিশিয়ে খাবেন । গ্রিন টি (এন্টিঅক্সিডেন্ট) বেস্ট, গ্রিন টিতে এই মশলাগুলো খেলে অনেক ভালো।
• কালোজিরা কার্যকরী একটা জিনিস । প্রতিদিন সকাল বেলা উঠে এক চামচ মধুর সাথে কালোজিরা অনেক বেটার একটা কম্বিনেশন । এছাড়া কালোজিরা ভর্তা/ভাজি খাবারের সাথেও খেতে পারেন ।
মেন্টালি:
ইমিউন বুস্টের জন্য সঠিক হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখা খুব জরুরি । তাই মনকে শান্ত রাখতে হবে, হাসি খুশি থাকতে হবে । ধর্মীয় প্রার্থনায় মন দিন, মন সুন্দর থাকবে।
তুমি কি এখনও হাই স্কুল বা কলেজের গন্ডি পার হওনি? আজকের টপিক তোমার জন্যই!
আমাদের দেশে স্ট্যান্ডার্ড এইট বা নাইনের তো দূরে থাক- ইন্টারমেডিয়েটের ছেলে মেয়েদেরকেও ক্যারিয়ার নিয়ে স্বাধীন চিন্তা করতে দেয়া হয় না। অথচ, স্ট্যান্ডার্ড নাইনের আগেই এটা স্থির করে ফেলা উচিৎ। কেননা সেটার উপরে পরবর্তী শিক্ষা জীবনের জন্য নিজের বিভাগ বেছে নিতে হয়।
পৃথিবীতে সব কিছুর প্ল্যানিং হয় না- এটা যেমন বাস্তব, ঠিক তেমনি- প্ল্যানিং না করার উপরেই ডিপেন্ড করে সারাটা জীবনের এমন এক পেশা বা ক্যারিয়ার, যেটাকে তুমি জীবনেও আপন করে নেবে না। কাজের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে। আর সেটা আসবে ভালবাসার কাজটাকেই উপার্জন করার মাধ্যম বা ক্যারিয়ার বানাতে পারলে।
এখন তুমি হয়ত বলবে, পড়ার অনেক চাপ…। বোর্ড পরীক্ষা চলে আসছে সামনে। এছাড়া অনলাইন ক্লাস, কিংবা স্কুল-কলেজ খুলে গেলে পরে তো আরো কত প্যারা! আচ্ছা… তোমাদের এই প্যারা গুলো বন্ধুবান্ধব আড্ডা-চিল এবং পাবজি-ফ্রি ফায়ার কিংবা এ্যানিমি সিরিজ দেখার সময় কই থাকে? এ্যাভেঞ্জার্স এন্ড গেইম কিংবা জাস্টিস লীগ?
মুভি বাদ দিলাম… আমার টিনেজ সময়ে মাইকেল শুমাখারের কথা বললে মানুষ হা করে থাকত। তোমরা লুইস হ্যামিল্টন কিংবা ভ্যালেন্টিনো রোসির মটোর স্পোর্টস দেখে বড় হওয়া প্রজন্ম। তোমাদেরকে তো খুব সহজে নিজের বুঝটা বুঝে নিতে হবে।
তোমাকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আর তা হচ্ছে- তুমি কী করবে?
হ্যাঁ! এটা বলতেই তুমি হয়তো বলবে, এগুলো আমার বিষয় না। এটা আমার প্যারেন্টস ঠিক করবে। অথবা বলবে, আমি এসবের কি বুঝি? এগুলো তো আমাদের অভিভাবক এবং টিচাররা ভালো বুঝবেন।
প্লিজ কাম অন… ফর গড সেক এইসব ফালতু অজুহাত ছাড়ো। তোমার জীবন। এটা কি তোমারই সবচেয়ে ভালো বোঝা উচিত না?
একটা ছোট্ট কাজ করবে। একটা সময় বেছে নিয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় ভাববে।
কী ভালো লাগে তোমার সবচেয়ে? সেটা কি কোন সাবজেক্ট? সেটা কি কোন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি? সেটা কি থ্রিলিং কোন কিছু? কোন কিছু নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালো লাগে? কল্পনায় নিজেকে কোন চরিত্রে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
যদি তোমার রাজ্যের ব্যস্ততা থেকে একটু সময় বের করে এইটা নিয়ে ভাবতে পারো, তাহলে দেখবে অনেক সহজেই নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছো। আর অলরেডি হয়ত সেটা করেও ফেলেছো। তোমার রাজ্যে তুমি নিজে যদি রাজা হতে না পারো, অন্য কেউ এসে তোমাকে সিংহাসনে বসাবে না।
তাই নিজের সবচেয়ে পছন্দের বিষয়টাকে ঘিরে ভবিষ্যত ক্যারিয়ার এর জন্য প্ল্যান করো। নিজের জন্য কাজ করো। পড়া, খাওয়া, খেলা, নামাজ, ঘুম – এগুলোর পাশাপাশি নিজেকে আরেকটু ডিসিপ্লিনড করে ফেলো। যেটা নিয়ে ভালো লাগে, যেই জায়গাতে নিজেকে ভবিষ্যতে দেখতে চাও, সেটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করো।
অন্য কেউ এসে তোমাকে কোন একটা কাজ ধরিয়ে দেবে, আর অপছন্দ সত্যেও সেটাই তোমায় করতে হবে… এটা একেবারে খারাপ হবে না তোমার জন্য? তাই বলবো, একটু সময় দাও। ভাল কিছু শেখো। স্কিল ডেভেলপ করো। নিজেকে পরিণত করো। যোগ্য হিসেবে সম্মান অর্জন করো।
যখন তোমার উপার্জনের সময় হবে, যখন তোমাকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে, যখন তোমাকে কিছু একটা করতে হবে… তখন যেন তুমি সেটাই করো, যেটা করতে তুমি ভালোবাসো। যেটা তুমি অনেক ভালোভাবে পারো। যেটা তুমি করতে অভিজ্ঞ, যেটা নিয়ে তোমার অনেক জ্ঞান আছে।
যেটা নিয়ে তুমি অনলাইনে অনেক ঘাটাঘাটি করেছো, ইউটিউব দেখে শিখেছো। তখন দেখবে শিক্ষাজীবন থেকে কর্মজীবনে পা রাখার পরেও, নিজেকে অনেক বেশি আপন মনে হবে। নিজের স্বত্বা নিজের মধ্যেই থাকবে। হতে পারে তুমি কোন জব করবে- তবে তখন নিজেকে এমন একটা জবে পাবে, যেটাতে তোমার নিজেকে পারফেক্ট ভাবে প্রকাশ করতে পারছো। এমন কিছু করছো, যেটাতে ইউ আর দ্যা বেস্ট।
আর এমন একটা গ্রেট সময়ের জন্য, এখনকার হেলায় নষ্ট করা সময়টাকে আরেকটু ভালোভাবে ম্যানেজ করতে হবে, এই যা!