উনবিংশ শতাব্দী সময়ের আজব সব চিকিৎসা ব্যাবস্থা ও অপারেশন পদ্ধতি
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র মহিলা নওয়াব ও নারীশিক্ষার পথিকৃৎ। তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারণে শিক্ষিত হন। শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল ।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা (১৮৩৪-১৯০৩) জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি। নওয়াব ফয়জুন্নেসার জন্ম কুমিল্লা জেলার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে লাকসামের) অন্তর্গত পশ্চিমগাঁয়ে । তিনি ১৮৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবা জমিদার আহমেদ আলী চৌধুরী আর মা আরাফান্নেসা চৌধুরাণী। তাঁর পিতা আহমদ আলী চৌধুরী ছিলেন হোমনাবাদ-পশ্চিমগাঁও-এর জমিদার।
পারিবারিক পরিবেশে গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই তিনি শিক্ষালাভ করেন। মুসলমানদের কঠিন পর্দাপ্রথার মধ্যে থেকেও ফয়জুন্নেসা আরবি, ফারসি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায়ও ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
ফয়জুন্নেসা বাবার প্রথম কন্যাসন্তান। জমিদার বংশের সন্তান হিসেবে বেশ আরাম-আয়েশের মধ্য দিয়ে তিনি বেড়ে ওঠেন। মোগল রাজত্বের উত্তরসূরী এই মহীয়সী নারীর ছিল দুই ভাই (এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং ইউসুফ আলী চৌধুরী) আর দু’বোন (লতিফুন্নেসা চৌধুরাণী এবং আমিরুন্নেসা চৌধুরাণী)।
ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ায় তার প্রচুর আগ্রহ দেখে ফয়জুন্নেসার বাবা মেয়ের জন্য গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করেন। তিনি কঠোর নিয়মানুবর্তিতা পালন করে তার জ্ঞানস্পৃহাকে আরো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তোলেন। গৃহশিক্ষকের সাহায্যে ফয়জুন্নেসা খুব দ্রুতই কয়েকটি ভাষার উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। বাংলা, আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত এ চারটি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ সহ ফয়জুন্নেসার এ প্রতিভা স্ফুরণে তার শিক্ষক তাজউদ্দিনের অবদান অতুলনীয়।
রবীন্দ্রযুগে যে কয়জন বাংলা সাহিত্য সাধনা করে যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা তাদের মধ্যে অন্যতম। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সাহিত্যিক হিসেবে নবাব ফয়জুন্নেসার নাম চিরস্মরণীয়। কলকাতার ঠাকুরবাড়ির ‘সখী সমিতি’র সদস্যা ছিলেন তিনি।
তার সাহিত্য সাধনার খুব অল্প সময়ে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক লেখক। শুধু তাই নয় প্রথম মুসলিম গদ্য-পদ্যে লেখিকা ছিলেন। ১৮৭৬ খ্রীস্টাব্দে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা গিরিশচন্দ্র মুদ্রণ যন্ত্র থেকে শ্রীমতি নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী রচিত সাহিত্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ প্রকাশিত হয়।
ব্রিটিশ অপশাসনের ফলে মুসলিম সমাজে কুসংস্কারের বেড়াজালে অবরোধবাসিনী হয়েও ফয়জুন্নেসা সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে একটি গৌরবময় স্থান অধিকার করে আছেন। রূপজালাল ব্যতীত ফয়জুন্নেসা কর্তৃক দু’খানি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়-সঙ্গীত লহরী ও সঙ্গীত সার প্রকাশিত হলেও তা এখন দুষ্প্রাপ্য। একথা বললে অত্যুক্তি হবে না সাহিত্য সাধনায় ফয়জুন্নেসার পথ ধরে বেগম রোকেয়ার আবির্ভাব হয়েছে। বাংলার নারীদের সাহিত্যে অবদানে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সর্বাগ্রে।
১৯০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মহীয়সীর জীবনাবসান ঘটে। তাকে তার প্রতিষ্ঠিত দশগুম্বুজ মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন এবং ইউটিউব এ আমাদের ভিডিও গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনঃ
Google! The most popular search engine in the world.
But how did Google’s journey begin? Who first came up with the idea of launching something that would make people’s lives a thousand times easier!
Google was started by two young students at Stanford University in California, USA, who were doing their Ph.D. at the time. Their names are Larry Page and Sergey Brin. Google was created by these two people – now one of the most valuable companies in the world.
Tamara Manner, a computer scientist, was at Stanford at the same time as the two Google founders. This feature will be a part of my recollection of how his two friends Larry and Sergei came up with the idea of a new type of search engine in the early days of the Internet.
In the mid-1990s. Two postgraduate students at Stanford came up with the idea – which later revolutionized the Internet world of human civilization.
Sergei Brin said, “We have always felt that such an initiative has business potential. But at that time our idea was to create a very good search engine and reach as many people as possible. ”
In the words of Larry Page, “Our mission was to streamline the world’s information, where people from all over the world could enter, benefiting everyone.” I thought it would be a great thing for the whole world. “
Larry laughed a lot. Besides, he was very intelligent and funny. Sergei, on the other hand, was a little serious. But they both deal with their confidence as they choose to embark on their play activities. Maybe it was a part of their personality and maybe that’s why Google has become such a different place.
Larry Page was born in Michigan. And Sergei Brin was born in Russia. However, both parents were academics and both came to Stanford to pursue a Ph.D. in computer science.
They first met in 1995. At the time, California’s Silicon Valley was a place of great potential. In Silicon Valley than the vibrancy of creation. Something new is being born everywhere. Everything is possible. One of the best things about the mid-1990s was that you could get a lot of great and attractive job offers at any one party.
Everywhere then start-ups – it means starting a new business, almost like an explosion. One-fourth of the graduate students at the time were start-ups. That was a wonderful place for a computer scientist.
Tamara worked in the same office with Larry Page and three others at Stanford. “When you meet Larry, you meet Sergei – because they’ve always been together,” he said. Even then, their friendship was not straightforward. ” Both later said that when they first met, they did not like each other at all.
In 1997, Page R. Brin launched a thesis project – How to Improve the Search for Different Pages on the Internet. Search engines say there was almost nothing then. Although it’s hard to imagine now, the process of finding something in the early days of the Internet was very chaotic and troublesome. If you want to find something then you have to rely on a hand-made index or index! Besides, there was no other way then.
“The world of the internet was so small back then that when someone clicked on my webpage, I kept logging in. What a thrill – someone clicked on my webpage!”
Page and Brin realize that when someone is looking for a webpage, it’s not just about being relevant, it’s about whether it’s valuable to previous users. For example, when you’re searching for ‘how to make a chocolate cake’, you’re not just looking for a page that has the word chocolate cake on it, you want that page – the page that other people have judged to be the best chocolate cake.
From this comes page ranking, algorithms – a new idea! Detailed information about this algorithm will be available in the second installment of Google Adopt!
This algorithm was used in a search engine called Backrub – it was launched by Page and Brin in 1998. Originally, this backbone was the predecessor of Google!
The following year, Page and Brin left the Stamford University campus. They raised ১০ 1 million with the help of friends, family, and a few investors, and started their own company. Its office was in Menlo Park, California, in a friend’s garage. From that garage office, Google is one of the biggest companies in the world today!
Backrub was so popular at the time that Stanford’s internet often crashed, unable to cope with the pressure. At this point, its two founders, Larry and Sergei, thought the company needed a new name.
That’s why everyone sat in a ‘brainstorming’ meeting to hear the ideas of different people. The decision taken at that meeting has now become a legend in the age of information technology. That’s where the name Google was suggested. That name is written on the whiteboard of Stanford University.
The name was GOOGOL – a mathematical word – meaning 100 zeros on the back of 1. But there was a spelling mistake in writing that – unintentionally, or who knows – maybe on purpose! GOOGLE! But that misspelling (‘G Double and GLOE’ / GOOGLE) eventually survived.
The Google.com domain name was registered on September 15, 1997. Creation is a new chapter!
Shortly afterward, the first Google Doodle came out – a change in the Google logo that reminds us of a particular person, event, or day. The first doodle was about a burning man – meaning Page and Brin went on a trip to the Burning Man festival in Nevada. Google has done many things that have not been done in the corporate world. Such as this Google doodle. The first doodle had a picture of a man on fire. Yet this Google Doodle changes its interface by remembering something special every day!
The search engine was very easy to use. All you have to do is type a word or two into their interface. The size of their company began to grow exponentially.
In August 2004, Google moved to its new headquarters in California. Whose name is Googleplex? That same year the company was listed on the stock market.
Google has become so much a part of our lives that it has become a noun and a verb. That misspelled ‘Google’ is now a noun! A verb! A brand!
Google is making hundreds of billions of dollars from advertising alone. They have been accused of tax evasion, monopoly power in the market, and censorship in China.
More Content:
Is it that true we lose brain cells? What makes it possible?
What is the easy way to know yourself?
What makes people smart and intelligent?
Make People Like You IMMEDIATELY with Psychological Tricks.
High IQ individuals lack social skills why do people say that?
This is Google’s first episode! In the second part, I will try to present all the details of the Google Algorithm.
Research References –
– BBC News
– Wikipedia
আলবার্ট আইনস্টাইনের এর প্রেম বা বৈবাহিক জীবন নিয়ে অতটা লুকোছাপা ছিল না। তাই হয়তো সহজেই বলে দেওয়া যায় মিলেভার সঙ্গে তাঁর রসায়নে চিড় ধরার কারণ।
বিখ্যাত এক সাহিত্যিক প্রায়ই বলেন, প্রেমের বিয়েতেও বিরক্তি আসে। একই ছাদের নিচে থাকতে থাকতে বৈবাহিক জীবনে বিরক্তি আসতে শুরু করে একসময়। আইনস্টাইনেরও বোধ হয় বৈজ্ঞানিক খ্যাতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলেভার সঙ্গটা একঘেয়ে লাগতে শুরু করেছিল। নইলে পরিবারের অমতে প্রেমিকাকে বিয়ে করার পরও সেই সম্পর্কে ফাটল কেন ধরল? এর পেছনে কি শুধুই একঘেয়েমি কাজ করেছিল, নাকি এর নেপথ্যে ছিল ব্যক্তিত্বের সংঘাত কিংবা পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব?
আলবার্ট আইনস্টাইন স্কুলজীবনে কিছুটা একগুঁয়ে আর প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন। কিছু কিছু ব্যাপারে তাঁর জ্ঞান ছিল শিক্ষকদের চেয়েও খানিকটা এগিয়ে। এ ধরনের ছেলেমেয়েদের যা হয়, আইনস্টাইনেরও তা–ই হলো। অনেক শিক্ষকের বিরাগভাজন হলেন, তাই ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেন না। শেষমেশ জুরিখে একটি কলেজে ভর্তি হলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় সুইস মেয়ে মিলেভা ম্যারিকের। মিলেভা ভীষণ সুন্দরী নন, কিন্তু মেধাবী। অনেকটা আইনস্টাইনের মতোই।
দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হলো, কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুত্ব গড়াল প্রেমে। সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন। কিন্তু বাদ সাধেন আইনস্টাইনের মা। কারণ, মিলেভা দেখতে তেমন সুন্দরী নন, আইনস্টাইনের চেয়ে তাঁর বয়স সাড়ে তিন বছর বেশি, পায়ে খুঁত আছে, হাঁটেন খুঁড়িয়ে। ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’—মিলেভা সম্পর্কে আইনস্টাইনের মা পলিনের মনোভাব ছিল তেমন।
তিনি ভাবতেন, মেয়েটা একটা ডাইনি। জাদুটোনা করে তাঁর ছেলেকে বশ করেছে। অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে তিনি চিঠি লিখতেন মিলেভার মাকে। কিন্তু অনড় আইনস্টাইন, তাঁর জেদের কাছে ভেঙে পড়ে মায়ের দৃঢ় মনোবল। আইনস্টাইন গোপনে একদিন বিয়ে করেন মিলেভাকে। এই ঘরেই জন্ম হয় ছেলে আলবার্টের, আরও পরে হান্স আইনস্টাইনের।
গল্পটা খুব সাধারণ। গল্পের পেছনেও গল্প থাকে। বিয়ের আগেই আসলে আইনস্টাইনের এক কন্যাসন্তানের মা হয়েছিলেন মিলেভা। সেই শিশুর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা জানা যায় না। তখনকার ইউরোপ ভীষণ রক্ষণশীল। অবিবাহিত মেয়ের মা হওয়াকে অত্যন্ত খারাপ চোখে দেখা হতো।
তাই আলবার্ট আইনস্টাইন বা মিলেভা কেউই তাঁদের বিবাহপূর্ব সন্তান সম্পর্কে ইতিহাসকে কিছু জানতে দেননি। কেউ কেউ মনে করেন, তাকে দত্তক দেওয়া হয়েছিল অন্য কারও কাছে। আবার কেউ মনে করেন, চার বছর বয়সেই মৃত্যু হয় আইনস্টাইনের প্রথম কন্যাসন্তানের। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। শিশুটি যেন নীরবে জন্ম নিয়ে একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল।
তারপর আরও দুই সন্তানের জনক-জননী হন আইনস্টাইন-মিলেভা জুটি। মিলেভা অনেক কষ্ট করেছেন। আইনস্টাইনের একটি পিএইচডি ডিগ্রি জোটেনি, চাকরির বাজারেও প্রত্যাখ্যাত। শেষে বন্ধুর সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের বার্নের পেটেন্ট অফিসে সামান্য একটি চাকরি শুরু করেন।
সেই দুঃসময়ে মিলেভা যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছেন সংসারের হাল। ওদিকে আইনস্টাইন অফিসের সময় চুরি করে দিস্তার পর দিস্তা সাদা কাগজ ভরিয়ে ফেলছেন গণিতের আঁকিবুঁকিতে। শেষ পর্যন্ত ১৯০৫ সালে এসে ঘুরে যায় আইনস্টাইনের জীবনের মোড়। সফল হয় অফিস থেকে চুরি করা সময়টুকুর পরিশ্রম। একে একে পাঁচ-পাঁচটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন তিনি।
এর মধ্যে একটি ছিল পরমাণুবিষয়ক, একটি আলোক তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা এবং তৃতীয়টি বিখ্যাত থিওরি অব রিলেটিভিটি–বিষয়ক প্রবন্ধ। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিজ্ঞানবিশ্ব। আইনস্টাইনকেও আর চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক কাম অধ্যাপকের পদে চাকরি পান। পিএইচডিও জুটে যায় ইতিমধ্যে। তখন আইনস্টাইনের সংসার সোনায় সোহাগা হয়ে ওঠা উচিত ছিল। কিন্তু হলো কিনা উল্টো!
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে—কথাটা বোধ হয় ঐতিহাসিক ভুল। শুধু নারী চাইলেই একটা সংসার ধরে রাখা সম্ভব নয়, যদি না তার পুরুষ জীবনসঙ্গী সেটি চায়। মিলেভা সাধ্যমতো সংসার সামলে রাখলে কী হবে, আলবার্ট আইনস্টাইনের বুকে তখন বাজছে নতুন প্রেমের সুর। ফিল্মস্টারের মতোই তাঁর তারকাখ্যাতি। যেখানেই যান একঝাঁক ললনার ভিড় লেগে থাকে তাঁকে ঘিরে। আইনস্টাইনও প্রশ্রয় দেন তাঁদের।
১৯১৩ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন এর স্ত্রী আর ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফিরে আসেন নিজের দেশে। বার্লিনে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে যোগ দেন। এরপরেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আইনস্টাইন। কারণ, খালাতো বোন এলসার প্রেমে নতুন করে মজেছেন তিনি। নতুন করে। কারণ, কৈশোরেও দুজনের মন দেওয়া–নেওয়া হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এলসা আর আলবার্ট আইনস্টাইন এর মাঝে ঘটে তৃতীয় একজনের আবির্ভাব। মেরি নামের ভয়াবহ এক সুন্দরীর মোহ আইনস্টাইনকে ভুলিয়ে দেয় এলসার প্রেম। ফলে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় এলসা ও আলবার্ট আইনস্টাইনেরআইনস্টাইনের প্রেমপর্ব। অনেক দিন পরে, যখন আইনস্টাইনের ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে, এলসারও বিবাহযোগ্য দুটো মেয়ে আছে, তখন কিনা ফিরে এলেন আইনস্টাইন!
এলসার তত দিনে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আইনস্টাইনের খ্যাতিও পৌঁছে গেছে তাঁর কানে। এলসা তখন বার্লিনে বাস করেন। সুতরাং আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর দেখা হতে থাকে নিয়মিত। পুরোনো প্রেমের রাগিণী বাজে দুজনের অন্তরে। বিষয়টা মিলেভার কান পর্যন্ত গড়াতে সময় লাগেনি।
স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ বেধে যায় সংসারে। কিন্তু মিলেভা তাঁর মহাপরাক্রমশালী স্বামীর সঙ্গে পেরে ওঠেন না। আলবার্ট আইনস্টাইন তখন হিটলারের মতো আচরণ শুরু করেছেন বাড়িতে, আরোপ করেছেন নানা বিধিনিষেধ। আলবার্ট আইনস্টাইনের জামাকাপড় যেন পরিপাটি থাকে সব সময়, রিডিং রুম যেন সব সময় গোছানো থাকে এবং অন্য কেউ যেন তাঁর ডেস্ক, বই, খাতাপত্র ইত্যাদি স্পর্শ না করে, সেদিকে মিলেভাকে লক্ষ রাখতে হবে।
মনে হতে পারে, এ তো সামান্য ব্যাপার, আটপৌরে বাঙালি পরিবারে তো অহরহ এমনটা ঘটে। মনে রাখতে হবে, বিশ শতকের প্রথম ভাগ হলেও ঘটনাটা ঘটছে ইউরোপের সুইজারল্যান্ডে, নারী স্বাধীনতায় সে যুগেও তারা যোজন যোজন এগিয়ে। আরও কড়া শর্ত ছিল আলবার্ট আইনস্টাইনের, কখনো মিলেভা নিজে থেকে স্বামীর সঙ্গ চাইবেন না কিংবা নৈকট্য লাভের আশা করবেন না, কথা বলার সময় আইনস্টাইন যখনই চাইবেন মিলেভাকে চুপ করে যেতে হবে, কথার প্রতিবাদ বা তর্ক করা যাবে না।
ভেবে দেখুন, এভাবে কি কোনো সম্পর্ক টেকে?
এসবে ক্লান্ত মিলেভা, তার সঙ্গে ছিল বঞ্চনার ব্যথা। শিক্ষাজীবনে ছাত্র হিসেবে আইনস্টাইনের চেয়ে বরং মিলেভাই ভালো ছিলেন। আইনস্টাইনের গবেষণাতেও সহযোগিতা করেছেন। তাঁরও ইচ্ছা ছিল পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করার। আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম যখন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে, মিলেভা তখন রান্নাঘরের হাঁড়ি সামলাচ্ছেন, মুখ বুজে সহ্য করছেন স্বামীর অন্যায় আবদার।
ঘরের এই অবস্থায় ‘চাইলে তিনিও পারতেন আলবার্ট আইনস্টাইন এর মতো বিখ্যাত হতে’—এই বিষয়টি মিলেভাকে ঈর্ষাকাতর করে তুলেছিল। দোষ বলতে তাঁর এটুকুই।
দিনে দিনে এলসার সঙ্গে প্রেমটা আরও খোলামেলা হয়ে ওঠে আইনস্টাইনের। মিলেভা এসব সহ্য করতে না পেরে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে যান বার্লিন ছেড়ে জুরিখে। সেটা ১৯১৪ সাল। আলবার্ট আইনস্টাইনের তখন পোয়াবারো। বাসা নিলেন এলসাদের বাড়ির খুব কাছাকাছি। এতে অবশ্য তাঁর সুবিধাই হলো, খাওয়া ও দেখভালের দায়িত্ব সব তুলে নিলেন এলসা নিজের কাঁধে। তিনি খুব করে চাইছিলেন আইনস্টাইন ও মিলেভার সম্পর্ক যেন বিচ্ছেদের দিকে যায়।
এ সবকিছুর মধ্যেও কিন্তু থেমে নেই আলবার্ট আইনস্টাইনের গবেষণা। তিনি তখন মগ্ন জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির রহস্য সন্ধানে। মগ্ন এলসার প্রেমেও। শুধু কি এলসা? শোনা যায়, আইনস্টাইন নাকি এলসার মেয়ের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এলসার বড় মেয়ে আইলস তখন আইনস্টাইনের সেক্রেটারি। গোপনে তাঁর সঙ্গেও অভিসার চলে আইনস্টাইনের।
এ বিষয়টা জানতেন স্বয়ং এলসাও। তিনি মেয়েকে বাধা দেন। সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্মের আগমুহূর্তে মা-মেয়ে-আইনস্টাইন-মিলেভা চতুষ্টয়ে মানব প্রবৃত্তির জটিলতম খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল পৃথিবীতে।
শেষ পর্যন্ত আইলস তাঁর আরেক প্রেমিককে বিয়ে করে ফেলেন। এলসার পথ তখন পরিষ্কার। আইনস্টাইন তখন মিলেভাকে বিচ্ছেদের প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু তিনি রাজি নন। কারণ, তাঁর ধারণা, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেই আইনস্টাইন তাঁর সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
এছারাও আরও পড়ুনঃ আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবন, কিছু রহস্য, ট্র্যাজেডি ও সাফল্য
এবংঃ
তথ্যসূত্র: ‘দ্য প্রাইভেট লাইফ অব আলবার্ট আইনস্টাইন’
“ছেলের মানসিক সমস্যার কারণে খুব কঠিন সময় পার করেছেন আলবার্ট আইনস্টাইন,” বলেন জেভ রোজেনক্রান্স, আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্টের একজন সম্পাদক এবং উপ-পরিচালক।
আলবার্ট আইনস্টাইনের কনিষ্ঠ সন্তানের নাম ছিল এডুয়ার্ড। তাকে আদর করে ডাকা হতো টেট।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
এডুয়ার্ড (বামে) এবং হান্স আলবার্ট আইনস্টাইন, শিশু বয়সে।
শিশু কালেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারের ভেতরে উদ্বেগ ছিল। তবে তার মানসিক সমস্যার কথা জানা যায় আরো অনেক পরে। “তার জীবন ছিল অত্যন্ত করুণ,” বলেন রোজেনক্রান্স।
আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী এবং পদার্থবিজ্ঞানী মিলেভা মারিচের সংসারে ছিল তিনটি সন্তান। তাদের কন্যা লিসেরেল সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, এবং তার জীবন অনেকটাই রহস্যাবৃত।
লিসেরেল ছিল তাদের সবচেয়ে বড় সন্তান। মেঝ সন্তান হান্স আলবার্ট তার জীবদ্দশাতেই বিজ্ঞানী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। তবে পিতার মতো বিখ্যাত তিনি কখনোই হতে পারেন নি।
“আমার পিতার ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠার পেছনে কারণ হল তিনি খুব সহজে হাল ছাড়তেন না। কিছু কিছু সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিতেন। এমন কী কোন ভুল সমাধান হলেও। তিনি বারবার চেষ্টা করতেন। একবার না হলে আবার করতেন,” বলেন হান্স আলবার্ট।
“একমাত্র যে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে আমি। তিনি আমাকে উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খুব শীঘ্রই তিনি বুঝতে পারেন যে আমি আসলে একজন একরোখা মানুষ এবং আমার পেছনে সময় দিলে সেটা হবে অপচয়,” বলেন তিনি।
মিলেভা মারিচ ও আলবার্ট আইনস্টাইন বিবাহবন্ধনে জড়ানোর আগেই ১৯০২ সালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল। এই কন্যা সন্তানের নাম ছিল লিসেরেল।
“দুই বছর বয়স হওয়ার পর তার কী হয়েছে সেবিষয়ে আমরা আসলেই কিছু জানি না,” বলেন রোজেনক্রান্স, “ইতিহাসে তিনি হারিয়ে গেছেন।”
আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্ট তৈরিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রোজেনক্রান্স। এই প্রকল্পের আওতায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীর শত শত দলিল ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো অনুবাদ ও প্রকাশ করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে এবং তাতে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবং হিব্রু ইউনিভার্সিটি অফ জেরুসালেম।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
আইনস্টাইনের যেসব চিঠিপত্র এবং দলিলপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো থেকে তার মানবিক দিক সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
এসব চিঠিপত্র থেকেই জানা যায় লিসেরেলের কথা।
“তার স্বাস্থ্য কি ভাল? সে কি ঠিকমতো কান্নাকাটি করে? তার চোখগুলো কেমন? আমাদের মধ্যে কার সঙ্গে তার বেশি মিল? কে তাকে দুধ খাওয়ায়? সে কি ক্ষুধার্ত? তার মাথা নিশ্চয়ই পুরোপুরি ন্যাড়া। আমি তাকে এখনও চিনি না কিন্তু এর মধ্যেই তাকে আমি অনেক ভালবাসি,” এসব কথাই সুইজারল্যান্ড থেকে আইনস্টাইন লিখেছেন মিলেভাকে, যিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য সার্বিয়াতে চলে গিয়েছিলেন।
কিন্তু শিশু জন্ম দেওয়ার জন্য তিনি কেন সুইজারল্যান্ড ছেড়ে যান?
আরো পড়তে পারেন: আলবার্ট আইনস্টাইন এর জীবনে কিছু মজার ঘটনা
“আইনস্টাইনের মা মিলেভার সঙ্গে তার সম্পর্ককে একেবারেই মেনে নিতে পারেন নি,” বলেন হানচ গুটফ্রয়েন্ড, আইনস্টাইনের ওপর সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন তিনি।
গুটফ্রয়েন্ড বলেন, আইনস্টাইনের মা মনে করেছিলেন তার সন্তান ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে ফেলছে। “তিনি এমন হুমকিও দিয়েছিলেন যে মিলেভা যদি অন্তঃসত্ত্বা হন সেটা হবে একটা বিপর্যয়কর ঘটনা। সেসময় বিয়ের আগে সন্তান নেওয়া ছিল অনেক বড় কেলেঙ্কারি।”
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে এই দুজনের মধ্যে প্রেম ছিল অনেক গভীর, বলেন গুটফ্রয়েন্ড। ধারণা করা হয় আইনস্টাইনের বয়স যখন ১৯ এবং মিলেভার বয়স ২৩ তখন তাদের মধ্যে এই সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল।
এই দুজন পদার্থবিদ জুরিখ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করতেন। সেসময় সেখানে মিলেভা ছিলেন একমাত্র নারী শিক্ষার্থী। এছাড়াও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নারী যিনি গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
ওয়াল্টার আইজাকসন আইনস্টাইনের ওপর একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। নাম আইনস্টাইন: তার জীবন ও মহাবিশ্ব। তিনি বলেন, “আইনস্টাইনের চিঠিপত্র থেকে মিলেভার প্রতি তার প্রেম ভালবাসা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। আমরা এও জানতে পারি যে আইনস্টাইনের মা বউ হিসেবে মিলেভাকে মেনে নিতে পারেন নি।”
একটি চিঠিতে লেখা: “আমার পিতামাতা এমনভাবে কাঁদতেন যেন আমি মারা গেছি। তারা বারবার একই অনুযোগ করতেন যে তোমাকে ভালবেসে আমি নিজের জন্য লজ্জা বয়ে এনেছি। তারা মনে করেন তোমার স্বাস্থ্য ভাল নয়।”
কিন্তু আইনস্টাইন তার হৃদয়ের কথাই শুনেছিলেন। মিলেভা যখন গর্ভধারণ করেছেন তখন তিনি তাকে একটি চিঠিতে লিখে একজন ভাল স্বামী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
আইনস্টাইন লিখেছেন: “আমাদের জন্য যেটা একমাত্র সমস্যা হয়ে থাকবে তা হলো লিসেরেলকে আমাদের সঙ্গে রাখা। আমি তাকে ত্যাগ করতে চাই না।”
আইনস্টাইন জানতেন তার সমাজে একজন “অবৈধ শিশুকে” সঙ্গে রাখা কতখানি কঠিন। এবং তার জন্য তো এটা আরো অনেক কঠিন ছিল কারণ তিনি সমাজে একজন সম্মানিত ব্যক্তিতে পরিণত হচ্ছিলেন।
মনে করা হয় যে আইনস্টাইনের সঙ্গে লিসেরেলের কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। মিলেভার যখন সুইজারল্যান্ডে ফিরে আসার সময় হয়, লিসেরেলকে তিনি সার্বিয়াতে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে রেখে আসেন।
আইজাকসন ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে মিলেভার একজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হয়তো লিসেরেলকে দেখাশোনা করতো কিন্তু এই তথ্যও খুব একটা নিশ্চিত নয়।
“তাদের প্রেমপত্রগুলোতে যা কিছু লেখা হয়েছে সেগুলো থেকেই আমরা তাদের কন্যা সম্পর্কে জানতে পারি,” বলেন গুটফ্রয়েন্ড, “কিন্তু একটা সময় পর তার কথা আর কখনো উল্লেখ করা হয়নি।”
“অনেক ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক সার্বিয়াতে গিয়ে তার বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছেন, দলিলপত্র, রেকর্ড, আর্কাইভ- সব জায়গাতে তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তারা তেমন একটা সফল হননি,” বলেন রোজেনক্রান্স।
“তার কথা সবশেষ উল্লেখ করা হয় যখন তার বয়স দুই বছর। সেসময় তার জ্বর হয়েছিল। কিন্তু আমরা জানি না এর পরে সে বেঁচে ছিল কীনা,” বলেন তিনি।
এর পর তাকে নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে: “হয়তো তাকে দত্তক দেওয়া হয়েছে, অথবা সে হয়তো মারা গেছে। আমরা ঠিক জানি না,” বলেন রোজেনক্রান্স।
ধারণা করা হয় যে আইনস্টাইন, যিনি ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন, তিনি তার কন্যা সম্পর্কে কাউকে কখনও কিছু বলেন নি।
আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্ট জানতে পেরেছে লিসারেল ১৯৮৬ সালেও বেঁচে ছিলেন। এসময় মিলেভার সাথে যেসব যোগাযোগ হয়েছে তার কিছু বিষয়ে এই প্রজেক্টে জানতে পেরেছে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
আইনস্টাইন ১৯০৩ সালে বের্ন শহরে একটি ভাল চাকরি পান, মিলেভা ফিরে আসেন সার্বিয়া থেকে, এবং এর পর তারা বিয়ে করেন।
পরের বছর তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এই পুত্র সন্তানের নাম ছিল হান্স আলবার্ট। তাদের তৃতীয় ও শেষ সন্তান ছিল এডুয়ার্ড, তার জন্ম ১৯১০ সালে। পরিবারটি জুরিখে চলে যাওয়ার পর তার জন্ম।
“আমার মা যখন বাড়িতে ব্যস্ত থাকতেন তখন আমার পিতা তার কাজ রেখে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের দেখাশোনা করতেন। আমাদেরকে তার হাঁটুর ওপর বসিয়ে তিনি দোল খাওয়াতেন। আমার মনে আছে তিনি আমাদের গল্প শোনাতেন এবং প্রায়শই ভায়োলিন বাজিয়ে আমাদের শান্ত রাখতে চেষ্টা করতেন,” এভাবেই হান্স আলবার্ট উল্লেখ করেছেন বলে জানান আইজাকসন।
এডুয়ার্ডের শৈশবের শুরুর দিকে তার স্বাস্থ্য খারাপ ছিল, প্রায়শই সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তো এবং দীর্ঘ সময় বিছানায় পড়ে থাকতো।
একবার, ১৯১৭ সালে, যখন তার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল, আইনস্টাইন তার এক বন্ধুকে লিখেছিলেন: “আমার ছোট শিশুর অবস্থা আমাকে বেশ বিষণ্ণ করে রাখে।”
এসব সত্ত্বেও “সে একজন দারুণ ছাত্র ছিল। শিল্পকলার ব্যাপারে তার বিশেষ আগ্রহ। সে কবিতা লিখে এবং পিয়ানো বাজায়,” আইনস্টাইনের ওপর এক গ্রন্থ ‘এন আইনস্টাইন এনসাইক্লোপিডিয়া’তে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুয়ার্ড তার পিতার সঙ্গে সঙ্গীত ও দর্শন বিষয়ে আলোচনা করতেন এবং আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন যে তার “ছেলে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করছে।”
আইনস্টাইন যতই তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ডুবে যেতে লাগলেন ততই মিলেভার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে লাগল। এসময় তার এক কাজিন এলসার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
পরিবারটি ১৯১৪ সাল পর্যন্ত বার্লিনে বসবাস করত। কিন্তু মিলেভার প্রতি আইনস্টাইনের অবজ্ঞামূলক আচরণের কারণে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে তিক্ততা আরো বৃদ্ধি পায়। এবং এক পর্যায়ে মিলেভা তার সন্তানদের নিয়ে সুইজারল্যান্ডে ফিরে যান।
তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে ১৯১৯ সালে কিন্তু সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকা আইনস্টাইনের জন্য খুব কষ্টকর ছিল, বলেন গুটফ্রয়েন্ড, ফলে তিনি তার দুই ছেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতেন।
“তিনি খুব স্নেহময় পিতা ছিলেন, ” বলেন রোজেনক্রান্স।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যখনই পরিস্থিতি তৈরি হতো তিনি সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, ছুটিতে বেড়াতে নিয়ে যেতেন এবং “যখন তারা বড় হয়ে গেল, তাদেরকে তিনি বার্লিনে আমন্ত্রণ জানাতেন একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য।”
“তাদের দুজনের সঙ্গেই আইনস্টাইনের ভাল যোগাযোগ ছিল, বিশেষ করে ছোট ছেলের সঙ্গে, তার কিশোর বয়সে।”
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
তিনি বলেন, এডুয়ার্ডের সঙ্গে তার ঘন ঘন যোগাযোগ হতো এবং সেটা ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায়ের। এমনকি তারা একে অপরের সমালোচনাও করতেন।
“এডুয়ার্ড আইনস্টাইনকে যা কিছুই পাঠাত সেটা তিনি খুব পছন্দ করতেন,” সেটা যে শুধু তার লেখার উপহার সেজন্য নয়, তার চিন্তার গভীরতার কারণেও।
আইনস্টাইন ১৯৩০ সালে তাকে লিখেছিলেন, “জীবন হচ্ছে একটা সাইকেল চালানোর মতো। ভারসাম্য রাখতে হলে সেটাকে চালাতে হবে।”
বড় ছেলে হান্স আলবার্টের সঙ্গে আইনস্টাইনের সম্পর্ক খুব বেশি গভীর ছিল না। হান্স ছিল অনেকটা মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ, বলেন রোজেনক্রান্স।
“বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল কাজ, উদ্ভাবন, কারিগরি – এসব বিষয়ে তার ঝোঁক ছিল,” তার পিতার সঙ্গে খেলাধুলা থেকে এটা বোঝা যায়।
এর কয়েক বছর পর আইনস্টাইন তাকে যেসব চিঠি লিখতেন সেগুলোতে তিনি যে শুধু তার তত্ত্বের কথাই লিখতেন তা নয়, সেগুলো তিনি প্রমাণ করারও চেষ্টা করতেন। একই সঙ্গে কিভাবে একটি চাকরি সংগ্রহ করা যায় সেবিষয়েও তিনি পরামর্শ দিতেন।
এডুয়ার্ড আইনস্টাইন স্বপ্ন দেখতেন যে তিনি একজন মনোবিজ্ঞানী হবেন এবং সিগমুন্ড ফ্রয়েডর তত্ত্বের ব্যাপারে তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল।
তিনি যখন মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন, ১৯৩২ সালে, তাকে সুইজারল্যান্ডের একটি মানসিক চিকিৎসার ক্লিনিকে ভর্তি করাতে হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে, তার বয়স যখন ২২ তখন ধরা পড়ে যে তিনি মানসিক রোগ স্কিটসোফ্রিনিয়াতে আক্রান্ত।
“এতে আইনস্টাইন প্রচণ্ড কষ্ট পান,” বলেন গুটফ্রয়েন্ড।
“আমার দুটো ছেলের মধ্যে সবচেয়ে পরিমার্জিত, যাকে আমার নিজের চরিত্রের মতো বলে মনে হয়, সে অনিরাময়যোগ্য এক মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে,” আইনস্টাইনের লেখা একটি চিঠিতে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জার্মানিতে নাৎসি বাহিনীর উত্থান ঘটে ১৯৩৩ সালে। তখন তিনি জার্মানি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে বাধ্য হন।
“জার্মানি ছেড়ে যাওয়ার সামান্য আগে আইনস্টাইন এডুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সম্ভবত সেটাই ছিল তাদের শেষ দেখা,” একথা উল্লেখ করা হয়েছে এক আইনস্টাইন এনসাইক্লোপিডিয়াতে, “এর পর পিতা ও পুত্রের আর কখনো দেখা হয়নি।”
মূলত মিলেভা-ই এডুয়ার্ডকে দেখাশোনা করতেন, কিন্তু যখন তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে থাকে- অথবা যখন মিলেভা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন- তখন তাকে একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে থাকতে হয়েছিল।
মিলেভা মারা যান ১৯৪৮ সালে। এর পর এডুয়ার্ডকে দেখাশোনা করার জন্য তার একজন আইনগত অভিভাবক নিয়োগ করতে হয়েছিল যার খরচ দিতেন আইনস্টাইন।
“আমার মনে হয় না সেসময় পিতা ও পুত্রের মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়েছে,” বলেন রোজেনক্রান্স।
আইজাকসনের মতে, এডুয়ার্ডের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি একটি ক্লিনিকে কাটিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ১৯৬৫ সালে ৫৫ বছর বয়সে মারা যান।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
আইনস্টাইনের দ্বিতীয় সন্তান হান্স আলবার্ট জুরিখে সুইস ফেডারেল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন।
“আমার আলবার্ট একজন সক্ষম ও দৃঢ় চরিত্রের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে,” ১৯২৪ সালে একথা লিখেছেন গর্বিত আইনস্টাইন।
হান্স আলবার্ট ১৯২৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৩৬ সালের মধ্যে তিনি ডক্টর অব টেকনিক্যাল সায়েন্সেস উপাধি অর্জন করেন।
পিতার পরামর্শে ১৯৩৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং সেখানে গিয়ে তার পড়াশোনা চালিয়ে যান।
তার পড়াশোনার বিষয় ছিল নদী এবং সেখানে পলিমাটির চলাচল।
নদীর পানি কিভাবে পলিমাটি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায় সে বিষয়ে আমরা বর্তমানে যা কিছু জানি তার ভিত্তি তৈরি করেছে এই হান্স আলবার্টের গবেষণা।
তার অবদানের প্রতি স্বীকৃতি জানাতে আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৮৮ সালে হান্স আলবার্ট আইনস্টাইন পুরষ্কার ঘোষণা করে।
হান্স বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
“তার মধ্যে কিছু বিষয়ের সমন্বয় ঘটেছিল যা খুবই বিরল। বিজ্ঞানের গবেষণায় তিনি খুব দক্ষ ছিলেন, একই সঙ্গে ছিলেন একজন প্রকৌশলী এবং একজন চমৎকার শিক্ষক।”
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫৪ সালে লেখা এক চিঠিতে তার এ ছেলের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, “সে আমার চরিত্রের প্রধান দিকগুলো পেয়েছে: লক্ষ্য অর্জনে সে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োগ করতে পারে, একজন মানুষের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব।”
সন্তানদের সঙ্গে আলবার্ট আইনস্টাইনের সম্পর্কে উত্থান পতন চোখে পড়ার মতো: কোন চিঠিতে তিনি খুব স্নেহপ্রবণ আবার কোন চিঠিতে তাকে খুব ঠাণ্ডা এবং জাজমেন্টাল বলে মনে হয়েছে।
“অন্যান্য পরিবারের মতোই, তাদের যেমন কঠিন সময় ছিল তেমনি ছিল ভাল সময়ও,” বলেন রোজেনক্রান্স, “হান্স আলবার্টের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার সংঘাত হয়েছিল।”
কিশোর বয়সে হান্স আলবার্ট একবার তার পিতাকে বলেছিলেন যে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু আলবার্ট আইনস্টাইন এতে খুশি ছিলেন না।
পরের কয়েক বছরে এই বিরোধ আরো বড়তে থাকে: “প্রথমত হান্স আলবার্ট যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন আইনস্টাইন তাকে পছন্দ করেন নি।”
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
এই ঘটনায় মিলেভা আইনস্টাইনের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন কিন্তু হান্স আলবার্ট তাদের দুজনের মতামত উপেক্ষা করে ১৯২৭ সালে ভাষাবিজ্ঞানী ফ্রিয়েডা নেখ্টকে বিয়ে করেন।
পরে আইনস্টাইন সন্তানের সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং ফ্রিয়েডাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেন। তাদের ঘরে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।
গুটফ্রয়েন্ডের মতে তারা দুজন একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করলেও তারা পৃথক জীবন যাপন করেছেন: হান্স আলবার্ট থাকতেন পশ্চিম উপকূলে আর আইনস্টাইন ছিলেন পশ্চিম উপকূলের প্রিন্সটনে।
“এছাড়াও, আইনস্টাইন এর মধ্যেই তার দ্বিতীয় সংসার শুরু করে দিয়েছেন (তার কাজিন এলসা এবং এলসার আগের ঘরের দুই কন্যাসহ), বলেন তিনি।
ফ্রিয়েডার মৃত্যুর পর হান্স আলবার্ট বায়োকেমিস্ট এলিজাবেথ রবোজকে বিয়ে করেন, যার সঙ্গে তিনি তার বাকি জীবন কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তার বয়স হয়েছিল ৬৯।
আইনস্টাইন একবার মিলেভাকে বলেছিলেন “তার জীবনের অন্যতম ভাল একটি দিক হচ্ছে তার দুই সন্তান, যারা তার মৃত্যুর পরেও আইনস্টাইনের জীবন বহন করবে,” বলেন আইজাকসন।
কিন্তু বিখ্যাত এবং প্রতিভাবান ব্যক্তির সন্তান হিসেবে তাদের জীবন সহজ ছিল না। এডুয়ার্ড নিজেই লিখেছেন: “কখনও কখনও এরকম একজন গুরুত্বপূর্ণ পিতা থাকার সমস্যা আছে। কারণ তার নিজেকে খুব অগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।”
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব প্রকাশিত হওয়ার এক বছর আগে হান্স আলবার্টের জন্ম হয়েছিল।
আলবার্ট আইনস্টাইন তার পরবর্তী জীবনে স্বীকার করেছেন মিলেভা কতো ভালভাবে তার সন্তানদের বড় করেছেন।
আমি মনে করি না যে আইনস্টাইন নিজেকে খুব ভাল একজন স্বামী হিসেবে মনে করতেন। আমার মনে হয় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে স্বামীর চেয়ে পিতা হিসেবেই তিনি ভাল ভূমিকা পালন করেছেন,” বলেন রোজেনক্রান্স।
সূত্রঃ BBC
Like Our Facebook Page and See Our Videos on YouTube
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাকর্ষ তরঙ্গের ওপর ভর করেই চলছে মহাবিশ্ব। পৃথিবীর ঘূর্ণন, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি সব কিছুই ঘটছে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কারণে। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্বেই এই তরঙ্গ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার মাধ্যমে আইনস্টাইনের তত্ত্ব নির্ভুল প্রমাণিত হয়।
তবে এত কঠিন কঠিন তত্ত্ব যে বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন, তাঁর জীবনে কিন্তু মজার ঘটনা কম নেই। সেসব মজার ঘটনার কয়েকটি দেওয়া হলো নিচে।
আইনস্টাইন সম্পর্কে বলা হয়, তিনি কথা বলতে শুরু করেন দেরিতে; চার বছর বয়সে। আর পড়তে শেখেন সাত বছর বয়সে। চার বছর পর্যন্ত যখন তিনি কথা বলছিলেন না, তখন তাঁর মা-বাবা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। একদিন হঠাত্ খাবার টেবিলে মূক আইনস্টাইন বলে উঠলেন, ‘স্যুপটা খুবই গরম’!
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এতদিন কেন কথা বলোনি?’
‘এতদিন তো সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল’, আইনস্টাইন তাঁর জীবনের দ্বিতীয় বাক্যটি বললেন।
বিজ্ঞানীরা বরাবরই কিছুটা ভুলোমনা হয়ে থাকেন, তবে এদিক থেকে নোবেলজয়ী বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বোধ হয় একটু বেশিই এগিয়ে ছিলেন! একবার তিনি ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। চেকার এসে টিকেট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন কিছুতেই টিকেট খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শুধু বিড়বিড় করছেন, ‘কোথায় যে রাখলাম টিকেটটা!’
চেকার বললেন, ‘স্যার, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকেট কেটেই উঠেছেন। আপনাকে টিকেট দেখাতে হবে না।’
আইনস্টাইন চিন্তিত মুখে বললেন, ‘না না! ওটা তো খুঁজে পেতেই হবে! না পেলে জানব কী করে, আমি কোথায় যাচ্ছিলাম!’
আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বিজ্ঞানীদের সম্মেলনে যোগ দিতে যান। সেখানে একজন বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ মন্তব্য করেন, ‘অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একজন জ্যোতির্বিদ গুরুত্বহীন একটি বিন্দু ছাড়া কিছুই নন।’
জবাবে আইনস্টাইন বলেন, ‘তবে আমার ব্যাপারটি হচ্ছে কি, কোনো মানুষকে যদি আমি এ রকম গুরুত্বহীন বিন্দু মনে করি, দেখি যে ওই ব্যক্তি একজন জ্যোতির্বিদ।’
আইনস্টাইন একবার রেলগাড়ির ডাইনিংয়ে রাতের খাবার খেতে এসে দেখলেন, চশমা ফেলে এসেছেন। খালি চোখে মেন্যুও পড়া যাচ্ছে না। তিনি ওয়েট্রেসকে ডেকে বললেন, দয়া করে এটা পড়ে দাও।
ওয়েট্রেস তাঁর দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘দুঃখিত স্যার, আমার পড়াশোনার দৌড়ও আপনার মতোই।’
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর টিকেট বিড়ম্বনার আরেক গল্প এটি। দিন কয়েকের জন্য প্রথমবারের মতো এক বড় শহরে বেড়াতে গিয়েছেন আইনস্টাইন। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাসে চেপে হোটেলে ফিরছেন।
বাসের কন্ডাক্টর টিকেট চাইলে তিনি খুবই বিব্রতবোধ করলেন। এ পকেট সে পকেট হাতড়ে কোথাও টিকেট পেলেন না। কন্ডাক্টর তাঁকে বিব্রত হতে দেখে বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনাকে আর ব্যস্ত হতে হবে না। টিকেটটা কোথাও পড়ে গেছে হয়তো।’
এ কথা শুনে আলবার্ট আইনস্টাইন বিচলিত হয়ে বললেন, ‘আরে না, বলছ কি তুমি! টিকেট না পেলে আমি হোটেলে ফিরব কী করে? টিকেটের উল্টো পাশে হোটেলের নাম-ঠিকানা লেখা ছিল যে!’
এক বক্তৃতা সভায় আলবার্ট আইনস্টাইনকে একনজর দেখানোর জন্য বাবা তাঁর ছেলেশিশুকে উঁচু করে ধরলেন আইনস্টাইনের সামনে। শিশুটি তখন তারস্বরে কাঁদছে। বৃদ্ধ আইনস্টাইন শিশুটির গাল টিপে দিয়ে বললেন, ‘এত বছর বয়সের মধ্যে একমাত্র তুমিই অকপটে আমার সম্পর্কে মনের ভাব প্রকাশ করলে। ধন্যবাদ।’
এক পার্টিতে আলবার্ট আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কী করেন?’ আইনস্টাইন বললেন, ‘আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র।’ তরুণী অবাক, ‘কী! এই বয়সে আপনি এখনো ছাত্র? আমি তো গত বছর পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফেলেছি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আইনস্টাইন যখন বিজ্ঞান ছেড়ে প্রায় নির্বাসিত জীবন-যাপন করছিলেন, তখন হিটলারপন্থী ১০০ জন অধ্যাপক একটি বই প্রকাশ করেন। যার বিষয়বস্তু ছিল আপেক্ষিক তত্ত্বের বিরোধিতা। আইনস্টাইন ব্যাপারটি জেনে মন্তব্য করেন, ‘আমার তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করার জন্য একজন অধ্যাপকই তো যথেষ্ট ছিল।’
আলবার্ট আইনস্টাইন এর ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’ তত্ত্ব আবিষ্কারের পর সেই সময়ে অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানী শুধু বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়। এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই ‘রিলেটিভিটি চুরুট’ রেখে দেয়। সে সময় এক সাংবাদিক আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা বলুন তো, থিওরি অব রিলেটিভিটি নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা হচ্ছে কেন?’
আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, ‘মানুষ ফ্যাশন পছন্দ করে। আর এ বছরের ফ্যাশন হলো থিওরি অব রিলেটিভিটি। তাই এ নিয়ে এত আলোচনা।’
একবার আলবার্ট আইনস্টাইন এর এক ছাত্র তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে অনুযোগের সুরে বলল, ‘স্যার, এবারের পরীক্ষার প্রশ্নগুলো প্রায় সবই গতবার পরীক্ষায় এসেছিল। হুবহু একই প্রশ্ন। তা হতে পারে-আইনস্টাইন বললেন, কিন্তু খাতা দেখতে গিয়ে লক্ষ করলাম উত্তরগুলো সব আগের বছরের চেয়ে আলাদা।
আলবার্ট আইনস্টাইন এর এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন টেলিফোন গাইডে নিজের নম্বর খুঁজতে শুরু করেন। এদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে সহকর্মী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘তুমি তোমার নিজের নম্বরটাও মনে রাখতে পারো না?’ এ কথায় আইনস্টাইন উল্টো যুক্তি দেখিয়ে বললেন, ‘যে জিনিসটা টেলিফোন গাইডে লেখা আছে, সেটা আমি খামোখা মুখস্থ করতে যাব কেন?’
বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মেধার তুলনায় তাঁর চেহারা ছিল নিতান্তই সাদামাটা। তারপরও একবার এক সুন্দরী অভিনেত্রী প্রস্তাব দেন, ‘চলুন আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আমাদের সন্তানের চেহারা হবে আমার মতো সুন্দর আর মেধা হবে আপনার মতো প্রখর।’
আইনস্টাইনের নির্বিকার উত্তর, ‘কিন্তু যদি ঠিক এর উল্টোটা ঘটে, তবে কী হবে?’
Like our Facebook Page and See our Videos on YouTube
“Hitler got married, did the party and shot himself “
•From April 25, 1945, Hitler’s life had only one objective – preparing himself for his death
On 25 April, he called his bodyguard Heinz Linge and said, “As soon as I shoot myself, you take my dead body to the Chancery garden and set it on fire. After my death no one has seen me, Nobody recognizes me. After this, you go back to my room and collect my uniform, paper, and everything that I have used, and come out and set fire to it. Only the Anton graph You don’t have to touch the oil painting of Frederick the Great, which my driver will take out of Berlin safely after my death. “
-In the last days of his life, Hitler worked and slept in a bunker built 50 feet below the ground. He used to go to the Reich Chancellery (garden ), only to get his favourite bitch Blondie exercised, where the wreckage of the broken buildings collapsed by bombs all around.
•On April 22, 1945, Hitler said to Eva that if you want you can go out of Berlin, then his girlfriend Eva Braun said, ‘You know I will not leave you and go somewhere … I will stay here.’
•Hitler’s secretary, Traudl Junge was with Hitler in the bunker until the last moment. Once speaking with one newspaper he said, “The last ten days were really like a nightmare for us. We were hiding in the bunker and the Russians were coming close to us. We heard the sound of their firing, bombs, and gunshots.
In the last weeks of his life, Hitler’s condition had become such that he could only be moved with pity. His whole body was shaking and his shoulders were bent. His clothes were dirty and the biggest thing was that his attitude towards everyone was very cold.
•During his last days in the bunker, Hitler decided that he would marry Eva Braun and give legitimacy to that relationship.
•In his book ‘The Life and Death of Adolf Hitler’, Robert Penn writes, “Hitler’s signature on the marriage certificate looked like a dead insect. Eva Browne wanted to write her first name, Brown. He also wrote ‘B’. But then they cut it and then wrote Eva Hitler Brown.
•Everyone jammed for Eva Hitler’s health. Eva drank a lot of champagne. Hitler also took a sip of champagne and started talking about the old days when he attended Goebbel’s wedding. Then suddenly his mood changed and he said, “
On the last day of his life, Hitler slept for a few hours and was refreshed. It has often been seen that prisoners who are sentenced to death sleep peacefully the night before their death.
Robert Penn writes, “Hitler called Professor Hasey to ask if cyanide capsules could be trusted? Professor advised that he should be tested on his beloved bitch Blandy. After the trial Hasey gave Hitler Reported, ‘The test was successful. It did not take more than a few seconds for Blondi to die. “
After the meal, Hitler finally came to meet his comrades. He shook hands with them without looking at their faces. His wife Eva Braun was also with him.
Then both of them went inside the room. Just then, a loud noise was heard. Magda Goebbels came screaming to the door that Hitler should not commit suicide. Standing just outside the door, Heinz Linge did not know when Hitler shot himself.
Then Borman ordered to open the door of Hitler’s room, Eva Brown lay on the sofa and her knees bent to the chest. He was wearing a thick blue dress, she might have spread his hand while dying, due to which the bouquet kept there had fallen.
After this, Lingay wrapped Hitler’s body in a blanket and brought it to the Chancery garden above the emergency door. Boorman raised the body of Eva Braun in her hands.
This scene was seen by all the companions of Hitler’s last days through the door of the bunker. As soon as their dead bodies were set on fire, everyone raised their hands and said ‘Heil Hitler’ and returned to the bunker. At that time there was a strong wind.
In the end, only those people will be with you, who truly love you
&
No matter, how powerful you are, the fear of death changes everyone.
Source – BBC News
“আমি ফ্রান্স সম্রাটের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু তাকে আমি আমার চেয়েও নিম্নস্তরের পেয়েছি। আমি জাপান সম্রাটের মুখোমুখি হয়েছি, তাকে একজন সাদাসিধে মানুষ হিসেবেই পেয়েছি। আমি ইংল্যান্ডের রানিরও সাক্ষাত করেছি, তাকে আমার সমমানের পেয়েছি। কিন্তু যখনই আমি উসমানি সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের সামনে গিয়েছি, রীতিমতো আমার কাঁপুনি ধরেছে; তার তেজস্বী মেধা, ভদ্রতাপূর্ণ আচরণ ও মার্জিত ব্যবহারের কারণে।”
“যুগের চারজন বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তির সাথে যদি সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদকে তুলনা করা হয়, তাহলে তীক্ষ্ণবুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও রাজনীতির দিক দিয়ে তিনি তাদের সবার উপরে থাকবেন।”
“গোটা পৃথিবীর তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও বিচক্ষণতা এইভাবে বণ্টন করা হয়েছে যে, ৯৫% সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের, ০৪% আমার এবং মাত্র ০১% সকল রাজনৈতিকদের।”
“জামাল! আমাদের আসল মুসিবতটা কী- জানো? আমরা বিপ্লব সংঘটিত করেছি। কিন্তু নিজেদের অজান্তে কখন জায়নবাদী ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছি, টেরই পাইনি। আসলে আমরা ছিলাম নির্বোধ।”
“হে মহান সুলতান, ইতিহাস যখন আপনাকে স্মরণ করবে, সত্য আপনার পক্ষেই থাকবে। আমরা নির্লজ্জভাবে আপনার উপর অপবাদ চাপিয়েছি। অথচ আপনি ছিলেন আমাদের যুগের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। আমরা বলতাম, সুলতান জালিম, সুলতান পাগল, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ অপরিহার্য। শয়তান যা যা বলেছিল, আমরা সব বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম। আমরা ঘুমন্ত ফিতনাগুলোকে জাগিয়ে তুলতাম। কিন্তু হে আমার মুনিব, আপনি পাগল ছিলেন না; পাগল ছিলাম আমরা।কিন্তু আমরা তা বুঝতেও পারিনি। না শুধু পাগলই নই; বরং আমরা মানুষ্য চরিত্রও হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা আপনার উপর নির্লজ্জভাবে অপবাদ চাপিয়েছি।”
উল্লেখ্য, সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদকে নিয়ে এসকল মন্তব্যকারীদের মধ্যে তৎকালীন ইসলামি চিন্তাবিদ জামালুদ্দিন আফগানি, তুর্কি নৌমন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা আনোয়ার পাশা, তুর্কি কবি ও দার্শনিক রেজা তাওফিক ও তুর্কি কর্নেল হুসামুদ্দিন আর্তুর্ক ছিলেন সুলতানের কট্টর বিরোধী। তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে এদের সকলেরই প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। কিন্তু শেষমেশ সকলেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন।
পুন : উল্লেখ্য, শুধু এরাই নয়; সুলতানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার আন্দোলনে যারাই জড়িত ছিল, সকলেই পরবর্তীকালে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিল। এঁদের একজন ছিলেন শাইখুল ইসলাম মুসতাফা সাবরি। তিনি তো শেষকালে শুধু আক্ষেপ আর আক্ষেপ করতেন!
পুনশ্চ : হায়, সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদকে মসনদ থেকে উৎখাত করে যারাই উসমানি খিলাফত কে কফিনে শুইয়ে শেষ পেরেক এঁটে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল, তারা শেষপর্যন্ত সকলেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিল এবং এজন্য অনুশোচিত হয়েছিল ঠিক; তবে বেলা ফুরাবার পর!
পুন পুনশ্চ : সুলতান আবদুল হামিদ যদি আরও কবছর মসনদে টিকে থাকতে পারতেন, তাহলে উসমানি খিলাফত এর ইতিহাস আজ ভিন্নভাবে রচিত হতো! কিন্তু জায়নবাদী ইহুদিদের চক্রান্তের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ওরা সব শেষ করে দিলো!
মুসলিম উম্মাহ আজ হতাশ, দিকভ্রান্ত। তাদের কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছে খাবলে খাচ্ছে। তারপরও বিশ্বব্যাপী উম্মাহ ঘুরে দাঁড়াবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। মুসলিম তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে, আশার আলো জাগাতে লেখক সুসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন, দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। হৃদয় স্পর্শ করা উত্তপ্ত কথামালা দ্বারা জ্বালিয়েছেন চেতনার মশাল। উল্লেখ করেছেন নবিজির হাদিস—‘নবুওয়াতের আদলে আবারও আসবে খিলাফত।’
আরও পড়ুনঃ
মানুষ সৃষ্টি মাটি থেকে, কোরআন এবং বিজ্ঞান এর প্রমাণ ও ব্যাখ্যা
আলবার্ট আইনস্টাইন এর জীবনে কিছু মজার ঘটনা
আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবন, কিছু রহস্য, ট্র্যাজেডি ও সাফল্য
Every free nation in the world has its national flag to show its own identity. A national flag isn’t merely a piece of cloth. It symbolizes our national identity, solidarity and independence. As an independent country, Bangladesh has a national flag of its own. We got our national flag at the cost of a bloody war in 1971.
The people feel proud of the flag because it means that Bangladesh is a free and sovereign country. The national flag of Bangladesh is the symbol of our pride, freedom and history. It reminds us of the valiant struggle of our freedom fighters. Our glorious national flag was adopted officially on 17 January 1972.
Painter Quamrul Hasan is the designer of our national flag. Its shape is rectangular having a ratio of 10:6 of length and breadth. It is made of cotton, linen or silk. It may be of different sides according to its use. The flag is hoisted every day on the top of our important buildings govt. offices and educational institutions. It is hoisted everywhere on the occasion of our national days such as the independence day, the victory day etc.
The flag is kept half most on the occasions of national mourning days. Our national flag bears a combination of two colours. The major part of it is deep green, which indicates the liveliness, youth and vigour on one side, on the other hand, it symbolizes the plentiful green nature of our country. There is also a deep red round part in the middle of it. The red disk represents the rising sun over Bengal and also the blood of our valiant freedom fighters.
The flag is the source of our spirit, optimism and inspiration. we salute the national flag and remember the supreme sacrifice of our freedom fighters. It is the foundation of our pride and hope. It is our sacred duty to uphold the image and honour of our national flag. Even we should shade the last drop of blood to keep its dignity.
বিশ্বের প্রতিটি মুক্ত জাতির নিজস্ব পরিচয় প্রদর্শনের জন্য জাতীয় পতাকা রয়েছে। একটি জাতীয় পতাকা কেবল একটি টুকরো টুকরো নয়। এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়, সংহতি এবং স্বাধীনতার প্রতীক। স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের নিজস্ব একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে। একাত্তরের রক্তাক্ত যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা পেয়েছি।
জনগণ পতাকাটি নিয়ে গর্ববোধ করে কারণ এর অর্থ হল যে বাংলাদেশ একটি মুক্ত ও সার্বভৌম দেশ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আমাদের গর্ব, স্বাধীনতা ও ইতিহাসের প্রতীক। এটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের মহিমান্বিত জাতীয় পতাকা সরকারীভাবে গৃহীত হয়েছিল ১৭ জানুয়ারী ১৯৭২ এ।
চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান আমাদের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের ১০ঃ৬ অনুপাতযুক্ত এর আকার আয়তক্ষেত্রাকার হয় এটি সুতি, লিনেন বা সিল্কের তৈরি। এটির ব্যবহার অনুসারে এটি বিভিন্ন দিক হতে পারে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং গভর্নমেন্টের শীর্ষে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি আমাদের জাতীয় দিবস যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি উপলক্ষে সর্বত্র উত্তোলন করা হয়
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পতাকাটি অর্ধেক রাখা হয়। আমাদের জাতীয় পতাকা দুটি রঙের সংমিশ্রণ বহন করে। এর প্রধান অংশটি গভীর সবুজ, যা একদিকে প্রাণবন্ততা, তারুণ্য এবং জোরকে নির্দেশ করে, অন্যদিকে, এটি আমাদের দেশের প্রচুর সবুজ প্রকৃতির প্রতীক। এর মাঝখানে একটি গভীর লাল গোলাকার অংশ রয়েছে। রেড ডিস্কটি বাংলায় উদীয়মান সূর্যকে এবং আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তকে উপস্থাপন করে।
পতাকাটি আমাদের চেতনা, আশাবাদ এবং অনুপ্রেরণার উত্স। আমরা জাতীয় পতাকাটিকে সালাম জানাই এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা স্মরণ করি। এটি আমাদের গর্ব এবং আশার ভিত্তি। আমাদের জাতীয় পতাকাটির চিত্র এবং সম্মানকে ধরে রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব , এমনকি আমাদের এর মর্যাদা ধরে রাখতে রক্তের শেষ ফোঁটা ছায়া করা উচিত।
joy bangabandhu | জয় বঙ্গবন্ধু
Like our Facebook page
Subscribe to our YouTube Channel
Jack Ma, originally Ma Yun, (born September 10, 1964, Hangzhou, Zhejiang province, China), a Chinese entrepreneur who was head of the Alibaba Group, which comprised several of China’s most popular Web sites, including the business-to-business marketplace Alibaba.com and the shopping site Taobao.com.
“We don’t want to be number one in China. We want to be number one in the world,” said Jack Ma shortly after he founded Alibaba
Building one of the world’s largest e-commerce companies doesn’t require specialized or technical knowledge, genius-level math—or even a business plan. So what does it take? Here’s the story that Jack Ma shares with the young, the richest man in China and, with about $35 billion in assets, one of the richest people in the world.
* I think Only when I was 40 years old did I start to know
* exactly what I wanted to do.
* I never thought in my life that I would be a businessman.
* and I never thought that I would be a teacher.
* So I became a teacher – I had never thought about it.
* I became an entrepreneur – I had never thought about it.
* And all of the other things.
* I wanted to be a policeman -rejected.
* I even wanted to be a waiter in KFC – rejected.
* Most of the dreams – you may think about it, but they don’t work out.
* Don’t try to be the best. Be the first.
* Be the first to change, be the first to take the challenge, be the first one to overcome the difficulties, because to be the best person – there’s only one Olympic champion.
* I don’t think I’m lucky enough to be that.
* But I can always try the new things and don’t give up, believe it because you are so unique.
* Everybody is unique. Being yourself is always the key.
* This world, today, is full of challenges and opportunities.
* Two thousand years ago, full of challenges and opportunities.
* And I’m suer Tow thousand years later, full of challenges and opportunities.
* There’s always …
* It depends on how you look at it.
* Somebody looks at this challenge as an opportunity.
* Young people say there are no opportunities.
* I complained a lot when I was young because I thought Bill Gates took all the opportunities for Microsoft, Steve Jobs, all these guys, There is no job, there’s no great, big stuff left for us.
* But I think opportunity always lies in the challenges.
* Always lies in the complaints.
* If you can solve the challenge, you will be successful.
* The bigger the challenge you solve, the bigger the opportunity you have.
* I think life is a journey.
* you come to this world to enjoy life, to be happier and healthier.
* The day when you leave the world you say I’m happy with my life
* I’m healthy in this life,
* because if you’re not healthy, you’ll never be happy.
* So I believe happiness and health are the things that human beings are always looking for.
* And I think in the next 30 years, because of the technology,
* life sciences are going to change a lot.
* People are going to live longer.
* But living longer does not necessarily mean living healthier.
* So if you are not healthy, How can you be happy?
* If you live longer, If you’re not happy, why do you live?
Jack Ma – Alibaba Group
READ MORE: How do I decide or taking important decisions wisely?
The beginning of the most popular search engine GOOGLE.
What is the easy way to know yourself?
What makes people smart and intelligent?