by Md Kawsar Munna | Aug 6, 2021 | Story
তখন মেয়েটির বয়স সবে সাত বছর। মায়ের সঙ্গে সে হাঁটতে বের হয়। তবে কিছুতেই মায়ের হাত ধরবে না। নিজের খেয়াল মতো রাস্তা পার হতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সে। ছোট্ট শরীরটাকে ধাক্কা মারার পর ঠেলতে ঠেলতে ১০০ ফুট দূরে নিয়ে গিয়েছিলো একটি গাড়ি। ২০১৬ সালে ঘটানাটি ঘটে। পথচলতি লোকেরা চিৎকার করে ওঠে। মাথা চাপড়াতে চাপড়াতে ছুটে যায় মেয়েটির মা। তিনি ও বাকি সবাই নিশ্চিত ছিলেন যে, মেয়েটি আর বেঁচে নেই। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে। তার মুখে একটুও ভয় বা আতঙ্ক নেই। মেয়ের হাসিমুখের অভিব্যক্তি দেখে তার মায়ের মনে হচ্ছিল সে বলতে চাইছিলো,‘কী হয়েছে এত চিন্তার কী আছে?’
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তার শরীরে কয়েকটি আঁচড়ের দাগ ছাড়া আর কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুরো শরীর স্ক্যান করেও ভেতরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ডাক্তাররা নিশ্চিত হলেন কোনো অবস্থাতেই মেয়েটি যন্ত্রণা অনুভব করে না। শুধু ব্যথা নয় খিদে এমনকি ঘুমও আসে না তার। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সত্যিই এমন এক মেয়ে আছে এই বিশ্বে। তার নাম লৌহমানবী অলিভিয়া ।
লৌহমানবী অলিভিয়া ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের কাছে হাডারফিল্ড নামের শহরের ফার্নসওয়ার্থ নামক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । গৃহকর্তা রিড, তার স্ত্রী নিকি ও তাদের পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে গড়া সাধারণ মধ্যবিত্ত এক ব্রিটিশ পরিবার। পৃথিবীর অধিকাংশ চিকিৎসক আজ এই পরিবারটিকে চেনেন। এর কারণ হলো তাদের দ্বিতীয় মেয়ে অলিভিয়া।
১০ বছর বয়সী অলিভিয়া পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। অলিভিয়ার এমন তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে যা পৃথিবীতে আর কারও নেই। যা ওই অতি ক্ষুদ্র মেয়েটিকে করে তুলেছে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন। ছোট্ট অলিভিয়া দিনের পর দিন না খেয়ে, না ঘুমিয়ে থাকতে পারে এবং যত বড় আঘাতই পাক না কেন অলিভিয়ার যন্ত্রণা লাগে না। ১০ বছরের জীবনে একদিনও কাঁদেনি অলিভিয়া।
ফার্নসওয়ার্থ পরিবারে দ্বিতীয় কন্যা ফুটফুটে অলিভিয়া। কয়েক মাসের মধ্যে বাবা-মা তাদের মেয়ের অলিভিয়ার কাণ্ড দেখে আতঙ্কিত হলেন। ছুটলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারকে বলেন, তাদের মেয়ে অলিভিয়া খিদে পেলে কাঁদে না, দিনে রাতে একদম ঘুমায় না, কোনো ধরনের আঘাত পেলেও কাঁদে না। ডাক্তার হেসে দম্পতিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এটা স্বাভাবিক। আপনারা বেশি খাইয়ে দিচ্ছেন তাই ক্ষুধায় কাঁদছে না। আর ঘুমটা নিয়ে সব বাবা-মা’র চিন্তা, ওটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিছুদিন পরেই ঠিক হয়ে যাবে।
ধীরে ধীরে বড় হয়েছে অলিভিয়া, মা-বাবা খিদের জ্বালায় মেয়ে কাঁদে না দেখে বাবা-মা তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন। অনেক চেষ্টার পরও অলিভিয়া যদিও সামান্য কিছু খেতো, কিন্তু কখনো ঘুমোতে চাইতো না। সারাক্ষণ তাকে নিয়ে খেলতে হতো। পরিবারের সবাই যখন ঘুমে মগ্ন থাকে অলিভিয়া তখন ছোট্ট পায় টলতে টলতে সারা বাড়ি জুড়ে সারা রাত ধরে ঘোরাঘুরি করতো। বাধ্য হয়ে বাবা-মা রাতে শিশু অলিভিয়াকে একটি খালি ঘরে খেলনা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন। তাদেরও তো ঘুমোতে হবে, না ঘুমিয়ে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।
ডাক্তার বললেন, এক জটিল গঠনগত ত্রুটির শিকার হয়েছে অলিভিয়া। তবে এক বছরের মধ্যেও অলিভিয়ার এই সব অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই অন্য এক ডাক্তারের কাছে যান তার বাবা-মা। সব শুনে সেই ডাক্তার অলিভিয়াকে পাঠিয়েছিলেন একটি ল্যাবরেটরিতে। সেখানে অলিভিয়ার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান তার বাবা-মা। রিপোর্টটি দেখে ডাক্তারের মুখ বিমর্ষ হয়ে যায়। সে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ফোন করেন। এরপর ডাক্তার রিপোর্টটি পাঠিয়েছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।
কয়েকদিন পর অলিভিয়ার বাবা-মাকে ডাক্তার বলেন, আসলে অলিভিয়া ক্রোমোজোম সিক্স পি ডিলেশন নামক একটি জটিল গঠনগত ত্রুটির শিকার। তাই অলিভিয়ার ক্ষুধা ও ঘুম পায় না। অলিভিয়ার বাবা-মাকে ডাক্তার বলেছিলেন, এ রোগের কোনো ওষুধ নেই। অলিভিয়াকে বাঁচাতে গেলে তাকে সময়ে সময়ে খাইয়ে দিতে হবে, কিন্তু ঘুমের জন্য কিছু করতে পারবো না। কারণ এইটুকু মেয়েকে ঘুমের ওষুধ দেয়া যাবে না। যেহেতু না ঘুমিয়েও সে সুস্থ আছে তাহলে সেভাবেই তাকে থাকতে দিন।
কী এই ক্রোমোজোম সিক্স পি ডিলেশন?
মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় ভ্রুণের কোষগুলো বারবার বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে থাকে, ফলে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে কোষের সংখ্যা দ্রুত ও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অলিভিয়া যখন মায়ের পেটে বেড়ে উঠছিলো, তার কোষের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছিলো।
তবে বিভাজনের ত্রুটির জন্য অলিভিয়ার দেহের কোষগুলোতে সিক্স পি নামক ক্রোমোজোম উপাদানটি ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ভূমিষ্ঠ হয় অলিভিয়া। তবে কোষের ত্রুটি স্থায়ীভাবেই থেকে গিয়েছিলো অলিভিয়ার দেহে। অলিভিয়ার দেহ থেকে সিক্স পি নামক ক্রোমোজোম মুছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অলিভিয়ার খিদে, ঘুম এবং ব্যথা পাওয়ার অনুভুতিও তার জীবন থেকে মুছে যায়।
অপমান করলে ভয়ঙ্কর উত্তেজিত হয় অলিভিয়া। ডাক্তারের কথা মতো, অলিভিয়ার বাবা-মা মেয়েকে বড় করতে থাকেন। তারপর অলিভিয়া স্কুলে ভর্তি হয়। দিন-রাত জেগে থেকেও স্কুলের মেধাবী ছাত্রী সে। পরীক্ষায় অলিভিয়ার নাম্বার সবচেয়ে বেশি থাকে। খেলাধুলাতেও সে স্কুলে পিছিয়ে থাকে না। তবে শান্ত ও হাসিখুশি অলিভিয়ার একটাই দোষ, কেউ তাকে অপমান করলে সে ভয়ঙ্কর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন অলিভিয়া আক্রোশবশত কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করে সেই মানুষটিকে বা নিজের মাথা দেওয়ালে ঠোঁকে।
আরও পড়ুনঃ
সাপে কাটলে কি করতে হবে? সাপ নিয়ে আমরা মুভিতে যা দেখি কতটুকু সত্যি!
মধ্যবিত্তরা সর্বস্বান্ত হন যে কারণে ! মধ্যবিত্তদের গরিব হওয়া ঠেকাবে কে?
বুদ্ধিমান বা স্মার্ট হওয়ার কিছু সহজ উপায় বা কার্যকরি পন্থা
মেয়েদের ব্যাপারে কিছু অজানা তথ্য ও সাইকোলজিক্যাল পরিসংখ্যান
সাইকোলজিস্ট, সাইক্রিয়াটিস্ট কিছুই বাদ দেননি অলিভিয়ার বাবা-মা। কিন্তু তারা বলেছিলেন,তাদের কিছু করার নেই। এসব হচ্ছে অলিভিয়ার ক্রোমোজোমের গঠনগত সমস্যার উপসর্গ। ওষুধ দেয়া যাবে না কারণ অলিভিয়া ওইটুকু সময় বাদ ছাড়া বাকি সময় সম্পূর্ণ সুস্থ ও হাসিখুশি থাকে।
ধরা পড়েছিল অলিভিয়ার আরেক অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য রোজ বিকেলে বাড়ির সামনের পার্কে তার ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলা করতে যেতো অলিভিয়া। একদিন অলিভিয়া একা গিয়েছিলো পার্কে।
সেখান থেকে ফেরার পর অলিভিয়াকে দেখে আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন মা নিকি। অলিভিয়ার নিচের ঠোঁটের অর্ধেকটা কেটে ঝুলছিল। জামা রক্তে ভেজা, কিন্তু অলিভিয়ার মুখে হাসি। আতঙ্কিত মায়ের পাশ দিয়ে ঘরে ঢুকে জুতো খুলতে শুরু করেছিলো অলিভিয়া। মুখে একটুও ব্যথার অভিব্যক্তি ছিল না তার।
হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল অলিভিয়াকে, প্রথমে স্টিচ ও পরে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। পুরো সময়টিতে একটু কাঁদেনি অলিভিয়া। হাসিমুখে ইনজেকশনের পর ইনজেকশন নিয়েছিলো। ডাক্তাররা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ‘ইস্পাত’ কঠিন মানসিকতার মেয়েটিকে দেখে। তারপরে অসংখ্য বার আঘাত পেয়েছে লৌহমানবী অলিভিয়া। কিন্তু তার মুখ থেকে একবার ‘আহ” শব্দটিও বের হয়নি।
অলিভিয়া পৃথিবীর একমাত্র ‘সুপার হিউম্যান’ এই দুর্ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডাক্তারদের সঙ্গে লৌহমানবী অলিভিয়ার ডাক্তারদের ফোন এবং ই-মেল চালাচালি এবং পৃথিবীব্যাপী সার্ভে রিপোর্টের আদানপ্রদান শুরু হয়েছিলো। কিছুদিন পরে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অলিভিয়াকে পৃথিবীর প্রথম ‘বায়োনিক চাইল্ড’ ঘোষণা করেছিলেন।
“এর অর্থ হলো অলিভিয়া অস্বাভাবিক ক্ষমতাযুক্ত একটি শরীর ও মন নিয়ে জন্মেছে, এই পৃথিবীতে অলিভিয়ার মতো সহ্যশক্তি আর কারো নেই।”
অলিভিয়া কয়েকমাস না ঘুমিয়ে, কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে, আর তার শরীর যেকোনো আঘাত ও যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে ঠিক রোবটের মতো। এই তিনটি বৈশিষ্ট্য সম্মিলিতভাবে বিশ্বে আর কোনো মানুষের দেহে কখনো দেখা যায়নি।
সারা পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজে আজ অবধি ১০০ জনকে পাওয়া গেছে যাদের সিক্স পি নামক ক্রোমোজোম ব্যাধিগ্রস্ত আছে। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে অলিভিয়াই প্রথম মানুষ যার শরীরে কোন ব্যথা, ঘুম,ক্ষুধা নেই এই তিনটি উপসর্গই আছে।
ভাবলেই অবাক লাগে শারীরিক ত্রুটি আজ লৌহমানবী অলিভিয়াকে বিশ্ব বিখ্যাত করে তুলেছে। করে তুলেছে বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম সুপার হিউম্যান।
Follow Us on Facebook page and See our videos on YouTube
by Md Kawsar Munna | Jun 13, 2021 | Story
মধ্যবিত্ত কারা, এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। তবে আয়ের দিক থেকে বিশ্বের মানুষকে সাধারণত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: দরিদ্র, স্বল্প আয়ের মানুষ, মধ্য আয়ের মানুষ, উচ্চ মধ্যম আয়ের ও উচ্চ আয়ের মানুষ। যারা দিনে ২ ডলারের কম আয় করে, তারাই দরিদ্র বলে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
দিনে ২ দশমিক শূন্য ১ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় হলে তারা নিম্ন আয়ের মানুষ, ১০ দশমিক শূন্য ১ ডলার থেকে ২০ পর্যন্ত আয়ের মানুষেরাই মধ্যম আয়ের, ২০ দশমিক শূন্য ১ থেকে ৫০ ডলার আয় হলে উচ্চ মধ্যম আয়ের ও দিনে ৫০ ডলারের বেশি আয় হলে তারা উচ্চ আয়ের শ্রেণিতে পড়বে। তবে দেশভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায়। এই আয় ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে।
কিন্তু মধ্যবিত্তরা কেন সবসময় সর্বস্বান্ত হয়ে যায়, কি এমন বিষয় তারা সবসময় ভুল করে বসে ।আর কেনই বা তারা এমন ডিসিশন নেয় যার জন্য কিনা পড়ে পস্তাতে হয়?
১. ভুল জমি বা ফ্লাট কেনা।
দেশে অসংখ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আছে, এরা বরশি ফেলে বসে আছে টোপ গেলার জন্য এবং এ টোপ হচ্ছে মধ্যবিত্ত। কেনার সময় আপনাকে যে জমি দেখানো হয়েছে আসলে তা হয়তো কেনাই হয়নি। জমির মালিককে মাসে দুহাজার টাকা ভাড়া দিয়ে জমির উপর কোম্পানিটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে মাত্র।
এ জমি কিনলেন তো বুড়িগঙ্গায় কষ্টের টাকা বিসর্জন দিলেন। সর্বস্ব হারানো মানুষটির এসব মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কিছুই করার থাকে না। আশেপাশে তাকালেই এদের হাতে পথের ফকির হওয়া অনেককেই দেখবেন।
উল্টাপাল্টা ডেভেলপার থেকে ফ্লাট কিনলেও একই দশা অপেক্ষা করছে।
একটি ভুল জমি বা ফ্লাট ইকুয়াল টু বাকি জীবনের কান্না।
২. অস্বাভাবিক ডিসকাউন্ট দেওয়া কোম্পানি।
এরা পঞ্চাশ হাজার টাকার জিনিস দশ হাজার টাকায় অফার করবে। কমদাম দেখে মধ্যবিত্ত যরা তারা ঝাঁপ দেবেন। এর মধ্যে সামান্য কয়েকজনকে পণ্য সরবরাহ করা হবে, বাকি অসংখ্য অর্ডারকারিকে দেবে না, সোজা কথায় তাঁদের টাকা মেরে দেওয়া হবে। বঞ্চিতরা এ কোম্পানির মালিককে জীবনেও ধরতে পারবেন না। কারণ তাঁদের টাকায় সে টাউট ইতোমধ্যে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে, গড়ে তুলেছে মাস্তান বাহিনী, চড়ে বুলেট প্রুফ গাড়িতে, বাস করে দূর্গে। ক্ষমতাহীন মধ্যবিত্ত দের সাধ্য নেই তাকে ধরার।
৩. ক্রেডিট কার্ড।
নগদ টাকা বের হয়ে যাওয়ার সময় যেমন মন খচখচ করে করে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনার সময় তা করে না। তাই সব কিছু কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে। একবারও মনে আসে না যে, ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি প্রায় ত্রিশ পার্সেন্ট সুদ আরোপ করবে। মানে ১০০ টাকার জিনিস আসলে আপনি কিনছেন ১৩০ টাকায়। এটি এমন একটি গর্ত, যেখানে ঢুকা যায়, কিন্তু বের হতে জান বেরিয়ে যায়। মিনিমাম পেমেন্টের গাড্ডায় পড়লে তো জান যাবে কিন্তু ওই গর্ত থেকে বেরুতে পারবেন না।
৪. শেয়ার বাজার।
এটি এমন একটি সুড়ঙ্গ যার ওপর পারে অপেক্ষা করছে অভিজ্ঞ খেলোয়ারেরা। ভালোভাবে এ বাজার না বুঝে সে সুড়ঙ্গে টাকা ঢুকালেন তো অপর প্রান্তে অপেক্ষামান ফিল্ডাররা ক্রিকেট বলের মতো তা খপ করে লুফে নেবে। তার মানে আপনি আউট! পারমানেন্ট আউট। জীবনেও আর খেলার সুযোগ পাবেন না। এরকম আউট হওয়া হতভাগ্য খেলোয়ার আশেপাশেই দেখতে পাবেন।
৫. অতিরিক্ত মুনাফার লোভ।
যখন কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারে প্রচলিত বা সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ মুনাফা বা সুদের চাইতে বেশি অফার করে তখনই সে প্রতিষ্ঠানে লাল পতাকা কল্পনা করবেন। মানে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি লালবাতি জ্বালিয়ে ভাগবে, তার টিকিটার খোঁজও আপনি পাবেন না। এরা তো জ্বীন-ভূত না যে বাজারের প্রতিষ্ঠিত অতি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের চাইতে বেশি মুনাফা দেবে! এটা কি সম্ভব? এদের হাতে কি আলাদীনের চেরাগ আছে? না নেই। তবে আপনার আমানতের টাকায় এ চেরাগ তারা নিজেদের জন্য তৈরি করছে। যেদিন চেরাগটি পুরোপরি জ্বলবে সেদিন আপনার টাকা বস্তায় ভরে ম্যাজিক কার্পেটে চড়ে এরা গায়েব হয়ে যাবে।
কার্পেট রেডি, কেবল উড়াল দেওয়ার অপেক্ষা।
৬. ব্যাবসা করার জন্য অন্যকে টাকা দেওয়া।
আমি এমন মানুষ খুব কম দেখেছি যারা অন্যকে ব্যাবসা করার জন্য টাকা দিয়ে সব হারাননি। দুটো কারণে এটা হয়। প্রথমত যিনি ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েছেন তিনি নিজেই মার খেয়েছেন, ফেরত কোত্থেকে দেবেন? দুই নম্বর হলো টাকা মেরে দেওয়া। কয়েকমাস লাভ দিয়ে তারপর অস্বীকার! লাভ তো দূরের কথা আসলই ফেরত পাওয়া যায় না। তাই ব্যাবসা যদি নিজে বুঝেন তাহলে করবেন, না বুঝে লাভের আশায় অন্যকে টাকা দিলেন মানে ব্যাংকের চেক কাটলেন না, নিজের ভাগ্যকেই নিজে কেটে দিলেন। দুনিয়ার কোনো সার্জনের সাধ্য নেই তা জোড়া লাগানোর।
৭. অন্ধ প্রতিযোগিতা।
আমাদের একটা বাজে অভ্যাস হলো অন্যদের সাথে অন্ধ প্রতিযোগিতা। পাশের বাসায় ৪২ ইঞ্চি টিভি কেনা হয়েছে! আমারও কিনতে হবে। কেউ গাড়ি কিনেছে! ধারকর্জ করে আমাকেও কিনতে হবে। ফলাফল হচ্ছে, পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়া। এ ইঁদুর দৌড়ের কারণে যখন জীবনে ঘোর বর্ষা নামবে তখন হাতে ছাতা থাকবে না। ফালতু প্রতিযোগিতার কারণে সে ছাতা তো কবেই বিক্রি করে দিয়েছি!
তাহলে কী করবেন?
উত্তর: উপরের কোনোটিই করবেন না। টাকাও নিরাপদ থাকবে, আপনিও নিরাপদ থাকবেন। হাতের ছাতা হাতেই থাকুক, বর্ষাকালের জন্য।
by Md Kawsar Munna | Mar 24, 2021 | Information, Story
বেশ কিছু দিন পরই আসছে মাহে রমজান। সবাই খুশি থাকলেও মেয়েদের মনের কোথাও না কোথাও একটা ভয় থাকবেই।
ভাবছেন কিসের ভয়.
তাহলে শুনুন.
রমজানের প্রথম দিন থেকেই মেয়েদের ইনবক্সে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়ে যায়,যারা কখনো খোঁজ ও নেয়নী তারা ও খোঁজ নিতে উঠে পরে লাগে।
তাদের একটাই প্রশ্ন রোজা আছো?
হয়ত কোন মেয়ে পিরিয়ড নিয়ে বলে “হা”
অথবা অনেকে বলে “না” “পেট ব্যাথা ” তাহলে হেঁসে লুটিয়ে পরে।
আচ্ছা, এটা কী মজা করার বিষয়?
এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার বিষয়?
তাদের মা, বোন দের কী পিরিয়ড হয় না? তখন ও কি মা বা বোন কে প্রশ্ন করে ” মা রোজা রাখসো?”
একটা মেয়ে কতটা কষ্ট করে সেই দিন গুলোতে কেউ জানে? না জানতে চেয়েছে?
অসহ্য রকম পেট ব্যাথা নিয়ে এক গাল হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
যে পেট ব্যাথা একটি পুরুষের হলে সে হয়ত এরোকম প্রশ্ন করতেই ভয় পেতো।
একবার ভাবুন যে মেয়েটা অল্প কিছুতে ভয় পেয়ে যায় সে মাসে ৩-৭দিন অসহ্য ব্যাথা ব্লিডিং সহ্য করে।
একজন মুসলিম মেয়ের জন্য রমজান কতটা ইম্পরট্যান্ট, কিন্তু পিরিয়ড জন্য রোজা,নামাজ,কোরআন এইসব এবাদত বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবারের অন্য সদস্য যারা এবাদত করছে,সেখানে একজন মেয়ে অসহ্য ব্যথা নিয়ে মানুষের কথা শুনতে হচ্ছে!! কেন???
“এটা তো মুসলিম নারীর জন্য অনেক কষ্টদায়ক। “
কখনো আপনার পিরিয়ড হলে ২-৩ দিন তাহলে বুঝতে পারতেন।।
এই পিরিয়ড জন্য আপনি আমি দুনিয়াতে এসেছি, এটা না হলে হয়তো আপনার আমার অস্থিত পৃথিবী থাকত না।
দয়াকরে এবার রমজানে কেউ কোন মেয়েকে এই প্রশ্নটা করবেন না।।
সম্মান করতে শিখুন মেয়েদের
সে তার পুরো যৌবন ত্যাগ করে কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়া শুধুমাত্র তার পরিবার স্বামী ও সন্তানের জন্য ।
একবারও কি নিজের বোন, মার কথা ভেবেছি? ভাবিনি!
মেয়েদের সম্মান করতে না
পারেন অন্তত অসম্মান করবেন না।
কথাগুলো খারাপ লাগছে প্লিজ মাফ করবেন।
সবাইকে মাহে রমজান ও ইদের এর শুভেচ্ছা
ভা্লো লাগলে শেয়ার করবেন এবং ফেসবুকে ফলো করতে ভুলবেন না
by Md Kawsar Munna | Mar 16, 2021 | History, Story
Jack Ma, originally Ma Yun, (born September 10, 1964, Hangzhou, Zhejiang province, China), a Chinese entrepreneur who was head of the Alibaba Group, which comprised several of China’s most popular Web sites, including the business-to-business marketplace Alibaba.com and the shopping site Taobao.com.
“We don’t want to be number one in China. We want to be number one in the world,” said Jack Ma shortly after he founded Alibaba
Building one of the world’s largest e-commerce companies doesn’t require specialized or technical knowledge, genius-level math—or even a business plan. So what does it take? Here’s the story that Jack Ma shares with the young, the richest man in China and, with about $35 billion in assets, one of the richest people in the world.
1. Have no idea what you want to do in life?
* I think Only when I was 40 years old did I start to know
* exactly what I wanted to do.
* I never thought in my life that I would be a businessman.
* and I never thought that I would be a teacher.
* So I became a teacher – I had never thought about it.
* I became an entrepreneur – I had never thought about it.
* And all of the other things.
* I wanted to be a policeman -rejected.
* I even wanted to be a waiter in KFC – rejected.
* Most of the dreams – you may think about it, but they don’t work out.
2. You don’t have to be the best.
* Don’t try to be the best. Be the first.
* Be the first to change, be the first to take the challenge, be the first one to overcome the difficulties, because to be the best person – there’s only one Olympic champion.
* I don’t think I’m lucky enough to be that.
* But I can always try the new things and don’t give up, believe it because you are so unique.
* Everybody is unique. Being yourself is always the key.
3. The world is full of opportunities.
* This world, today, is full of challenges and opportunities.
* Two thousand years ago, full of challenges and opportunities.
* And I’m suer Tow thousand years later, full of challenges and opportunities.
* There’s always …
* It depends on how you look at it.
* Somebody looks at this challenge as an opportunity.
* Young people say there are no opportunities.
* I complained a lot when I was young because I thought Bill Gates took all the opportunities for Microsoft, Steve Jobs, all these guys, There is no job, there’s no great, big stuff left for us.
* But I think opportunity always lies in the challenges.
* Always lies in the complaints.
* If you can solve the challenge, you will be successful.
* The bigger the challenge you solve, the bigger the opportunity you have.
4. Want to be happy? Be healthy.
* I think life is a journey.
* you come to this world to enjoy life, to be happier and healthier.
* The day when you leave the world you say I’m happy with my life
* I’m healthy in this life,
* because if you’re not healthy, you’ll never be happy.
* So I believe happiness and health are the things that human beings are always looking for.
* And I think in the next 30 years, because of the technology,
* life sciences are going to change a lot.
* People are going to live longer.
* But living longer does not necessarily mean living healthier.
* So if you are not healthy, How can you be happy?
* If you live longer, If you’re not happy, why do you live?
see it in the video
Jack Ma – Alibaba Group
READ MORE: How do I decide or taking important decisions wisely?
The beginning of the most popular search engine GOOGLE.
What is the easy way to know yourself?
What makes people smart and intelligent?