জোর করে অতীতকে ভোলার চেষ্টা করাটাই বন্ধ করে দিন। এছাড়া আর কিন্তু সত্যিই কোনো উপায় নেই। কারণ আপনি যত ভোলার চেষ্টা করবেন তত সবকিছু মনে পড়বে।
এবার কিছু কথা বলি। সাথে পুঁথিগত কিছু উপায় সমূহ। প্রত্যেক মানুষের অতীত থাকে। কিছু ভালো , কিছু খারাপ। ভালো অতীত আমরা ভুলতে চাইনা।
তা বেশিরভাগ সময় মনে পড়েনা। বা মনে পড়লেও আমরা খুশি হয়ে যাই।তাই তাকে সযত্নে মনের গভীরে লালন করি।
কিন্তু খারাপ অতীত স্মৃতিকে আমরা সবসময় ভোলার চেষ্টা করে আরো বেশি করে মনে করতে থাকি। স্মৃতি এমন জিনিস নয় যা চাইলেই আমরা মুছে ফেলতে পারি। তাই ভালোর সাথে খারাপকেও রেখে দিতে শিখতে হবে।
কষ্ট কমানোর জন্য কি কি করতে হবে?
- অতীতকে ভুলতে হবে না। ভালো খারাপ যেমনই হোক না কেন তা মেনে নিতে শিখুন। কারণ যা ঘটে গেছে তা পাল্টানোর ক্ষমতা কারো নেই।
- কিন্তু চাইলেই বদলে নিতে পারেন নিজেকে।সুতরাং নিজেকে বোঝান ‘যা গেছে তা যাক’, যা আছে তাকে নিয়ে বাঁচতে শিখুন। হতে পারে অকারণে অতীতকে আঁকড়ে ধরে রেখে নিজের অজান্তেই সুন্দর একটা ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলছেন আপনি।
- সবসময় খারাপ দিকটা না দেখে জীবনের ভাল দিকগুলিও দেখুন। ভাবুন যে ঘটনার কথা ভেবে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন তা না ঘটলে আর কী কী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কাজেই নিজেকে বোঝান যা হয়েছে তা ভালর জন্যই হয়েছে। শুধু খারাপ নয়, আপনার চারপাশে ভাল থাকারও রসদ রয়েছে প্রচুর। এবার খুঁজতে শুরু করুন সেগুলি।
- অতীত তো চলেই গেছে, তাই বিগত ঘটনা নিয়ে অযথা ভেবে আদৌ কোনও লাভ আছে কি? ভেবে দেখুন। অতীত ভেবে কষ্ট পাবেন নাকি ভবিষ্যতে কীভাবে ভাল থাকবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই।
- কথাতেই আছে ‘আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড’। সেসমস্ত বিষয় আপনাকে অতীত নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সেটা কোনও মানুষ হতে পারে যেমন বন্ধু বা আত্মীয়, অথবা কোনও ছবি বা উপহারও হতে পারে। যা আপনাকে জোর করে অতীত নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে সেসব বিষয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন।
- হার জিত , সন্মান অসম্মান, প্রেম বিচ্ছেদ এসব নিয়েই জীবন। জীবনের বিভিন্ন রূপগুলোকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে শিখতে হবে।
- নিজেকে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত রাখুন। নিজের শখের কাজগুলোকে প্রাধান্য দিন।
- পরিবারের সাথে, বন্ধু প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান। মন খুলে কথা বলুন। বিশ্বাসযোগ্য সমব্যথী কাউকে সব খুলে বলুন। কষ্ট ভাগ করলে কমে যায়।
- যখনই অতীত তীব্র যন্ত্রনা দিতে এগিয়ে আসবে তখনই বর্তমানকে আঁকড়ে ধরুন, ভবিষ্যৎকে সুন্দর করার পরিকল্পনা করুন। অতীত হারাতে থাকবে।
- নিজেকে সময় দিন। সময়ের থেকে বড় ওষুধ আর কিছু নেই। সময় দিন। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
- খুব বেশি মানসিক অবসাদ হলে বা বিষণ্ণতা গ্রাস করলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
- ঘোড়া যেখান থেকে জল পান করে, সেখানে জল পান করুন। ঘোড়া কখনও খারাপ জল পান করে না।
- বিড়াল যেখানে ঘুমায, সেখানে আপনার বিছানা পাতুন। বিড়াল কখনও অপবিত্র, নোংরা জায়গায় ঘুমায় না।
- যে ফল পোকা ছুঁয়েছে তা নির্দ্বিধায় খান। পোকা কখনও বিষাক্ত ফল খায় না।
- পোকাপ্রাণী মাটিতে যেখানে খনন করে বাস করে, সেখানে গাছ লাগান। ভাল গাছ পাবেন।
- পাখির সাথে একই সময়ে ঘুমোতে যান এবং পাখির সাথে একই সময়ে জাগ্রত হন। আপনার সমস্ত দিন স্বর্ণের শস্যে কাটবে।
- মাছের মতো পানিতে প্রায়শই সাঁতার কাটুন। মাছের মতো আপনি নিজেকে পৃথিবীতে হালকা, ফুরফুরে, সজীব অনুভব করবেন।
- যতবারই সম্ভব আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন। আপনার চিন্তাধারা আকাশের মতো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
- অনেক শান্ত থাকার চেষ্টা করুন আর অল্প কথা বলুন। আপনার হৃদয়ে দেখবেন নীরবতা আসবে, আপনার আত্মা ও মন শান্ত ও শান্তিতে পূর্ণ হবে।
ভালো থাকবেন। 🍀
