প্যারালাল ইউনিভার্স কি? প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা!
পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বমতে, আমাদের এ বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই সমান্তরাল কিছু মহাবিশ্ব রয়েছে, সামান্তরিক মহাবিশ্ব হলো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ঠিক আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের মতো আরও একটি বা একাধিক ব্রহ্মাণ্ড যা ঠিক আমাদেরই মতো। সেখানকার প্রকৃতি, ভূমণ্ডল এমনকি প্রাণিজগৎও একেবারে আমাদেরই মতো। হুবহু আমাদেরই মতো দেখতে সবকিছু। একেবারে যেন আমাদের যমজ বিশ্ব।
মেয়েদের ব্যাপারে কিছু অজানা তথ্য ও সাইকোলজিক্যাল পরিসংখ্যান
মেয়েদের সম্বন্ধে অদ্ভূত ফ্যাক্ট গুলি বলার আগে আমি পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতির ই কিছু সাময়িক অথচ গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতির ওপর আলোকপাত করতে চাই। তাহলে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
প্রথমেই বলি, নারী এবং পুরুষ পরস্পরে একে অপরের পরিপূরক। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই একজন নারীর একজন পুরুষকে কিংবা একজন পুরুষের একজন নারীকে ভীষণভাবে দরকার পড়ে। মা, বোন, দিদি ,গার্লফ্রেন্ড,ওয়াইফ ,বান্ধবী অথবা বাবা, দাদা ,ভাই, বন্ধু ,বয়ফ্রেন্ড, হাজবেন্ড, দাদু ইত্যাদি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে সেগুলো বারবার প্রমাণিত হয়েছে।
নারী এবং পুরুষ দুজনেই সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে তৈরি। সেটা শুধু শারীরিক গঠন ও মানসিকভাবেই নয়,বরং মস্তিষ্কের দিক থেকেও। বলা হয় যে পুরুষজাতি নাকি মঙ্গল গ্রহের মতো, কথাটির পেছনে একটি বড় কারন হল তাদের প্রকৃতি ও চরিত্র। বলে যেতে পারে তারা জীবনের সবকিছু সহজভাবে হিসাব করে নিতে পছন্দ করে, একজন প্রকৃত পুরুষ উপর থেকে যেমন দেখায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্তর থেকে সেটাই হয়ে থাকে। পুরুষেরা সবসময় সহজ সরল জিনিস টাকেই বেশি মূল্য দিতে অভ্যস্ত, যেকোনো বিষয়ে প্রয়োজনের অধিক জটিলতা তৈরি হলে সেটা সহ্য করা পুরুষদের পক্ষে হয়ে ওঠে খুবই কষ্টকর।
এবার আসি নারীজাতির সম্বন্ধে, নারীর তুলনা করা হয় শুক্র গ্রহের সঙ্গে। শুক্র গ্রহ কে যেমন উপর থেকে দেখলে বোঝা যায় না যে তার অন্তরে কি রয়েছে ,তেমনই হল একটি নারী। খুবই জটিল এই নারী জাতি।( সেই জন্য তো কখনো কখনো নিজেকেও বুঝতে পারিনা) আবার খুবই সহজ খুবই সরল,ও ইমোশনাল। একটি মেয়ের মুখে এক কথা কিন্তু তাদের অন্তরে লুকিয়ে থাকে সম্পূর্ণ একটি অন্য কথা। নিজের ভাব প্রকাশ করতে মেয়েরা কখনোই সফল হয় না। একটি ছেলে একটি মেয়েকে যখন কিছু বলে মেয়েটি তখন সেই কথাটি কে অনেক রকম আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখে। একটি মেয়ে প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে ভাবতে বেশি পছন্দ করে। তাদের এই অত্যধিক ভাবনার শেষ পরিণতি হয় জটিলতা।
ছেলেদের সরল হওয়া এবং মেয়েদের জটিল হওয়ায় কারোরই দোষ নেই। বাস্তব বিষয় হলো নারী এবং পুরুষ জন্মগতভাবে সম্পূর্ণ আলাদা প্রকৃতির। আপনার হয়তো এই যুক্তিটি মানতে অসুবিধা হতে পারে কিন্তু এটি বিভিন্ন সমীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
এখন কথা তো অনেক হল, এবার আসল কথায় আসিঃ
১.মেয়েদের ঘাড়ের পেশী অর্থাৎ নেক ছেলেদের ঘাড়ের তুলনায় সাড়ে চার গুন বেশি নমনীয় বা ফ্লেক্সিবল। ছেলেদের এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কেয়ার রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষার দ্বারা জানা যায় যে ঘাড়ের সমস্যা জাতীয় রোগে ছেলেদের চেয়ে ১.৩৮ শতাংশ বেশী মেয়েরা আক্রান্ত হয়। কারন মেয়েরা তাদের সম্পূর্ণ জীবনে দৈনন্দিন কাজে ও অফিসে নিজেদের ঘাড় বেশি ব্যাবহার করে,যা একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের থেকে ৩৭.৯ গুন বেশি। কি অবাক হলেন? সবেতো শুরু। ২. মেয়েদের শ্রবণশক্তি ছেলেদের চেয়ে বেশী,সেই কারণে মেয়েদের ঘুম সেনসিটিভ হয় ও একটু আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। এই ধরনের বৈশিষ্ট্য মেয়েটি প্রাকৃতিকভাবে তার মা এর গর্ভে বড় হয়ে ওঠা কালীন পায়। যাতে সেই বাচ্চা মেয়ে বড় হয়ে তার মায়ের মতনই বাচ্চাটির যত্ন নিতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় বাচ্চাটির খিদে পেলে যদি সে কাঁদে তাহলে ঘুম ভেঙে গিয়ে মা তার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবে। ছেলেদের শ্রবণশক্তি মেয়েদের তুলনায় কম,হয়তো সেই কারণেই ছেলেদের ঘুম থেকে সহজে ডেকে তোলা যায় না। ছেলেরা এভাবেই তৈরি কারণ সারাদিন বাইরে কাজ করার পরে তাদের ব্রেইন সম্পূর্ণ রেস্ট চায়। যদি তাদের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হয় তাহলে বাইরে কাজ করে তারা অন্নের সংস্থান করতে অসফল হবে। ও তাতে আলটিমেটলি সংসারেরই ক্ষতি। অস্ট্রেলিয়ায় Sleep GP test বিভাগের সমীক্ষায় জানা গেছে – মেয়েদের শ্রবন ক্ষমতা ভালো হওয়ার কারণে একশ জনের মধ্যে ৩০জন মেয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। কারণ রাতের নিস্তব্ধতায় তাদের শ্রবণশক্তি আরো বৃদ্ধি পায়,বাড়ির পাশে সামান্য কুকুর বিড়াল ডাকার আওয়াজে রাতের ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ফলে তারা ডিপ্রেশন, শারীরিক দুর্বলতা ,বিনা কারনে রাগ হওয়া অথবা কথায় কথায় রেগে যাওয়া ইত্যাদি রোগে ভোগে। এটাই হয়তো মেয়েদের সবকিছুকে বেশি সিরিয়াস ভাবে নেওয়ার একটা কারণ। ৩. মেয়েদের যে কোন জিনিসের জটিলতা বোঝার ক্ষমতা খুব বেশি এবং তাদের ব্রেন এভাবেই তৈরি হয়েছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা যে কোন কথার যুক্তি কে বেশি ধার্য করে কিন্তু বেশিরভাগ ছেলেরাই নিজস্ব যুক্তি বানিয়ে নিতে বেশি পছন্দ করে। সিম্পলি দে আর রুল ব্রেকার অর্থাৎ সমাজের রীতিনীতি মেনে চলার দায়বদ্ধতা ছেলেরা পালন করতে ইচ্ছুক নয় । কিন্তু চাপে পড়ে করতে হয় ওই আর কি।। এতে খারাপ কিছুই নেই কারণ ছেলেরা যদি সমস্ত জটিলতা বুঝে ফেলে তাহলে তাদের ব্রেইন সেই জটিলতা থেকে পালাতে চাইবে, ছেলেটিকে জোর করা হলে তার ব্রেনের কোষের অত্যধিক পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে। এর সবচেয়ে বড় একটি উদাহরণ হল মানসিক চাপ নিতে না পারার ফলে ৫০ থেকে ৭০বছরের অনেক পুরুষেরই স্ট্রোক কিংবা হার্টফেল হয় । শারীরিক জনিত সমস্যা তো আছেই কিন্তু সবথেকে বড় সমস্যা হলো মানসিক সমস্যা কিংবা দুশ্চিন্তা যা ছেলেদের পক্ষে সহ্য করা খুবই কষ্টকর । একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আমেরিকায় ১৯৮১ – ২০১৬ সাল অবধি ছেলেদের সুইসাইড এটেম্পট এর সংখ্যা কুড়ি হাজার এবং মেয়েদের পাঁচ হাজার। তাই অনেক জিনিস আছে যেগুলো সম্পূর্ণ না বোঝাই হয়তো ছেলেদের মস্তিষ্কের পক্ষে ভালো। ৪. অ্যালকোহল এর প্রভাব ছেলেদের থেকে মেয়েদের শরীরে অনেক বেশি হয় সেটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন,কিন্তু তার কারণটা কি জানেন? মেয়েদের শরীরের কোষে ছেলেদের শরীরের কোষের তুলনায় কম জল থাকে, সেই কারণে অ্যালকোহল হজম করার শক্তি তাদের কম হয় । অ্যালকোহল হজম না হওয়ার ফলে তা মেয়েদের রক্তে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছায় ফলে মেয়েটির নেশা হয়। এর মানে হলো সারাদিনই একটি মেয়ে যে পরিমাণ জল গ্রহণ করে তার বেশির ভাগটাই ঘামের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত রক্তস্বল্পতা এবং ডিহাইড্রেশন মেয়েদের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। (নারী হয়ে জন্মানো বড়ই কঠিন) ৫. ছেলেদের মনে একটি খুবই কমন প্রশ্ন যে মেয়েরা কেন মেকআপ করে ?? কি দরকার এত সাজার? ঘুম কম, শরীরে জল কম এছাড়াও অত্যধিক চিন্তা এবং মানসিক জটিলতার কারণে ডিপ্রেশনে ভোগে মেয়েরা ।সেই কারণে তাদের শরীর-মন এবং সাথে সাথে তাদের স্কিনের উপর ও প্রভাব পড়ে, ফলে অনেক সময় অসুস্থ দেখায় তাদের। সেই মুহূর্তে মেয়েদের ব্রেন এর প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট খোঁজে। তারা চায় নিজেকে আরো সুন্দর করে তুলতে অন্তত সমাজের চোখে, এতে লজ্জার কিছু নেই কারণ এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যখন তাদের মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ দেখতে লাগবে তখন পুরুষের ব্রেন তার পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাদের দেখে আকৃষ্ট হবে, পুরুষের ব্রেন এটা ভাববে যে এই মহিলাটি সুস্থ ও পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
সাইকোলজিক্যাল পরিসংখ্যানঃ
১) ১১ মাস বয়স থেকে মেয়েরা পোকামাকড় ভয় পাওয়া শুরু করে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এটাকে জেনেটিক ব্যাপার বলছেন। ২) সমসংখ্যক স্নায়ু থাকার পরেও মেয়েরা ফিসফিস কথা বেশি শুনে এবং স্বাদ ভাল বুঝতে পারে কেন সেটার কারণ এখনো অজানা। ৩) মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে দ্রুত চেহারা সনাক্ত করতে এবং রাস্তাঘাট চিনতে পারে ৪) যদিও ইমোশন বেশি তবু মস্তিষ্কের বিশেষ কন্ট্রোল ব্যবস্থার কারণে মেয়েরা আ”ত্ম*হ”ত্যা করে ছেলেদের চেয়ে ৬ গুন কম। ৫) মেয়েদের হৃদপিন্ড দ্রুত বিট করে এবং এরা কথায় অনেক বেশি শব্দ ব্যবহার করে ৬) কাউকে কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ড যদি কোন মেয়ে জড়িয়ে ধরে রাখতে পারে তার মানে সে ব্যাক্তিকে বিশ্বাস করে। ৭) মেয়েদের হাত খালি রাখতে তারা অবচেতনভাবে অস্বস্তি বোধ করে তাই পার্স, মোবাইল.. এরকম কিছুনা কিছু হাতে রাখে। ৮) আশেপাশে কোন বিরাট শব্দ হলে অধিকাংশ মেয়ে আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে আর ছেলেরা হাত দিয়ে। ৯) মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে দুঃস্বপ্ন এবং ইমোশনাল স্বপ্ন বেশি দেখে। ১০) কোন মেয়ের সাথে কথা বলার সময় মেয়ের নাম উচ্চারণ করে করে কথা বললে ওই মানুষকে ওই মেয়ে বেশি পছন্দ করে। ১১) সারা দুনিয়াতে প্রত্যেকটা জাতিতে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি বাঁচে। ১২) মেয়েরা তাদের কাছে কেউ কোন সমাধান চাইলে, তাদের পছন্দের জিনিস জানতে চাইলে এবং তাদের কোন সুন্দর উপনামে ডাকলে খুব খুশি হয়।ওয়েবসাইট তৈরি – আপনার ব্যবসার সাফল্যের চাবিকাঠি
ওয়েব সাইট আপনার প্রতিষ্টানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ মাধ্যম । ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠান ভেদে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে । আপনার ওয়েব সাইট একটি শক্তিশালী মার্কেটিং মাধ্যম , ক্রেতাকে প্রভাবিত করার অন্যতম উপায় , আন্তর্জাতিক ভাবে লেনদেন এবং পরিচিতির অন্যতম মাধ্যম , বর্তমান বাজার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের অন্যতম মাধ্যম । আমরা অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই নিজ প্রতিষ্টান এর জন্য । এই পোস্ট টি তে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইট তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত । পোস্টটিতে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করনের সময় যে ব্যাপার গুলি মাথায় রাখা প্রয়োজন তা বিস্তারিত আলোচনা করায় পোস্ট টি অনেক লম্বা হবে । আপনি যদি একান্তই আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে আপনার পুরো পোস্ট টি পড়ার ধৈর্য আছে বলে ধরে নিচ্ছি ।ওয়েব সাইট তৈরির আগে নিজেকে প্রস্তুত করুনঃ
আজকের ডিজিটাল যুগে একটি ওয়েবসাইট কেবল আপনার প্রতিষ্ঠানের অনলাইন উপস্থিতিই নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টুল, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার উপায় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে ওয়েবসাইট তৈরি করলে এটি আপনার ব্যবসার প্রসার ও ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ওয়েবসাইট তৈরির পূর্বপ্রস্তুতি
বাংলাদেশে বিভিন্ন এজেন্সি কম বা বেশি বাজেটে ওয়েবসাইট তৈরি করে। তবে দাম নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ধরন, ডিজাইন, হোস্টিং এবং অন্যান্য ফিচারের ওপর। আপনার প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার জন্য কেমন ওয়েবসাইট প্রয়োজন, সেটি বুঝতে হলে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরি।ওয়েবসাইট তৈরির মূল উপাদান
আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ভিত্তিতে। এগুলো হলো ডোমেইন, হোস্টিং, ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ও সিকিউরিটি। আসুন একে একে এগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।১. ডোমেইন – আপনার অনলাইন পরিচয়
আপনার ব্যবসার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ও ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন নেম নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, yourbusiness.com বা yourbrand.net হতে পারে। ডোমেইন কেনার খরচ সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রিমিয়াম বা জনপ্রিয় ডোমেইনের দাম আরও বেশি হতে পারে।২. হোস্টিং – আপনার ওয়েবসাইটের ভার্চুয়াল জায়গা
যেমন একটি দোকানের জন্য ফিজিক্যাল জায়গা লাগে, তেমনি ওয়েবসাইটের জন্য অনলাইন স্টোরেজ বা হোস্টিং লাগে। বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং পাওয়া যায়, যেমন:- শেয়ার্ড হোস্টিং (কম খরচে, ছোট ব্যবসার জন্য উপযুক্ত)
- ভিপিএস হোস্টিং (মাঝারি ও বড় ব্যবসার জন্য ভালো)
- ডেডিকেটেড হোস্টিং (বড় ব্যবসার জন্য উচ্চমানের সার্ভার সুবিধা)
৩. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে আপনি কাস্টম ডেভেলপমেন্ট বা রেডিমেড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। ✅ কাস্টম ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইটের প্রতিটি অংশ আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ডেভেলপ করা হয়। ✅ ওয়ার্ডপ্রেস/ওপেন কার্ট/ম্যাজেন্টো: দ্রুত ও সহজ সমাধান, ই-কমার্স বা ব্লগিংয়ের জন্য জনপ্রিয়। আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি ও এসইও অপ্টিমাইজড হতে হবে, যাতে এটি সহজেই গুগল সার্চে র্যাঙ্ক করতে পারে।৪. ওয়েবসাইট সিকিউরিটি – সুরক্ষিত রাখুন আপনার তথ্য
একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি সিকিউরিটি ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে। যেমন:- SSL সার্টিফিকেট (সাইটের ডাটা এনক্রিপ্ট করতে সাহায্য করে)
- ফায়ারওয়াল ও অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সিস্টেম (সাইবার অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে)
- রেগুলার ব্যাকআপ (ডাটা সুরক্ষিত রাখার জন্য)
৫. ওয়েবসাইট তৈরির খরচ ও সার্ভিস প্যাকেজ
ওয়েবসাইট তৈরির খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর:- সাধারণ ওয়েবসাইট ৫,০০০ – ১৫,০০০ টাকা
- ই-কমার্স ওয়েবসাইট ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা
- কাস্টম ডেভেলপমেন্ট ওয়েবসাইট ৫০,০০০+ টাকা
শেষ কথা
একটি সফল ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। সঠিক ডোমেইন, ভালো হোস্টিং, মানসম্মত ডিজাইন ও শক্তিশালী সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আপনার ব্যবসার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী ওয়েবসাইট তৈরি করুন। 📌 আপনার ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন! 🔗 আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন & ইউটিউব চ্যানেলে নতুন ভিডিও দেখতে চোখ রাখুন! 🎥 আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে সাথে থাকুন এবং আমাদের ভিডিও গুলো দেখতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আরও পড়ুনঃ Data সায়েন্স কি ? Data সায়েন্স স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে কিছু ধারনা ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক, গিগ ইম্প্রেশন, ক্লিক, প্রোফাইল ও গিগ তৈরী এবং পাব্লিশ ফেসবুক এ্যাড টার্গেটিং স্ট্রাটেজি “ফেসবুক মার্কেটিং”, “মার্কেটিং এন্ড ব্র্যান্ডিং”জীবনে যে সকল কাজ করলে মেধাশক্তি কমে যায় বা বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ
প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমালেঃ
প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমানোটা হলো বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।ঘুম সম্পর্কে নতুন করে আর ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার কোন দরকার নেই।এই প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ঘুম কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা প্রত্যেকেই খুব ভাল করেই জানি।এবং যদি একজন মানুষ সঠিকভাবে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না ঘুমান।তাহলে সে মানুষটা খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।এটাই স্বাভাবিক এবং এটা নতুন করে বলার কিছু নেই।তবে হয়তো বা আপনারা জানেন না এই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না ঘুমালে মানুষের মেধা শক্তি হ্রাস পায়। এবং আমি আগেই বলছি পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো টা হল বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। অর্থাৎ আপনি বলতে পারেন বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ এর মধ্যে এই প্রধান কারণটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না ঘুমানো। আমরা জানি ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সেইসাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ঘটবে। আরও পড়ুনঃ বুদ্ধিমান মানুষ হওয়ার সহজ কিছু কৌশল জেনে নেই! উনবিংশ শতাব্দী সময়ের আজব সব চিকিৎসা ব্যাবস্থা ও অপারেশন পদ্ধতিঅতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস করলেঃ
আমার দৈনিন্দন জীবনের নানান ধরনের খাবার খেয়ে থাকি।আর সে খাবার গুলোর দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পারি।আমরা যে খাবারগুলো খাই তার বেশিরভাগ খাবারে জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার।এবং এই জাঙ্ক ফুড খাবার কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।আপনি বলতে পারেন যে কাজগুলো করলে বুদ্ধি কমে যায় বা মেধাশক্তি হ্রাস পায় তার একটি কাজ বা কারণ হলো এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া।তাই আমাদের উচিত খাবার তালিকা থেকে কিছু পরিমাণ হলো জাঙ্ক ফুড খাবার গুলো কে ত্যাগ করা বা বর্জন করা।তাহলে আমরা আমাদের মেধা শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারব এবং মেধা শক্তি হ্রাস হওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।শরীরচর্চা না করলেঃ
শরীরচর্চা না করাটা ও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। এই সঠিকভাবে শরীরচর্চার না করলেও কিন্তু বুদ্ধি কমে যায় বা মেধা শক্তি হ্রাস পায়।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সঠিক ভাবে শরীরচর্চা করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শুনলেঃ
বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন যারা কিনা হেডফোন কানে লাগিয়ে উচ্চশব্দে গান শুনে থাকেন তবে এতে দেখা গিয়েছে হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনাটা বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত হেডফোন কানে দিয়ে উচ্চস্বরে গান শোনা বন্ধ করে দেওয়া আরও পড়ুনঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার কাছের মানুষ মানসিক রোগ এ আক্রান্ত কি না? বুদ্ধিমান বা স্মার্ট হওয়ার কিছু সহজ উপায় বা কার্যকরি পন্থাধূমপানে আসক্ত হয়ে গিয়ে আর তা ছাড়তে না পারাঃ
বর্তমান সময়ে এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের কোন অভাব নেই। এবং এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।এবং বর্তমান সময়ে ছোট বড় সবাই এই ধুমপানে আসক্ত হয়ে উঠছেন।এবং এই ধূমপানে আসক্ত হওয়াটাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই ধুমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখা। ধুমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখার মাধ্যমে কিন্তু মেধাশক্তির হ্রাস থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব।নিঃসঙ্গতায় বা একাকীত্বে ভুগলেঃ
এই নিঃসঙ্গতায় বা একাকীত্বে ভুগটাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ।নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বের মধ্যে যে ছিল বা ছিলেন তারাই ভালো করে বুঝতে পারবেন এই নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্ব বিষয়টা। একাকীত্ব জীবন যাপন টা হচ্ছে স্লো পয়জনিং এর মত।যেটা আপনাকে ধীরে ধীরে এবং তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।এবং সেইসাথে আপনার মেধা শক্তিকে হ্রাস করে ফেলবে।এবং এই একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা আপনার বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ এর শ্রেষ্ঠত্ব কারণ হয়ে উঠতে পারে।এবং আমরা প্রত্যেকেই আরো জানি একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা অবস্থায় থাকলে যেকোনো রোগ খুব দ্রুতই আক্রমণ করতে পারে।প্রাকৃতিক আলোর অভাবেও এমন হতে পারেঃ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রাকৃতিক আলোর অভাবে মানুষের মেধা শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। তাই আমাদের এই প্রাকৃতিক আলো সংস্পর্শে থাকা উচিত। এবং এই প্রাকৃতিক আলোর অভাব টাও কিন্তু বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই প্রাকৃতিক আলো সংস্পর্শে জীবন যাপন করা। আমার মনে হয়,,দৈনন্দিন জীবনে উক্ত বদ অভ্যাসগুলোর কারণে মেধাশক্তি হ্রাস পায়। এবং উক্ত এই বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধা শক্তিকে হ্রাস থেকে মুক্তি করতে পারি।তাই আমরা প্রত্যেকেই উক্ত বদ অভ্যাস গুলো খুব দ্রুতই ত্যাগ করার চেষ্টা করব। বন্ধুগণ এই ছিল জীবন আপডেট পর্বের আজকের আলোচনা এবং আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বুদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ। যদি আমাদের আজকের এই আলোচনায় আপনি কিছুটা উপকৃত হন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। ভালো লাগলে লাইক করুন এবং শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।। আরও পড়ুনঃ সাপে কাটলে কি করতে হবে? সাপ নিয়ে আমরা মুভিতে যা দেখি কতটুকু সত্যি! মধ্যবিত্তরা সর্বস্বান্ত হন যে কারণে ! মধ্যবিত্তদের গরিব হওয়া ঠেকাবে কে?বুদ্ধিমান বা স্মার্ট হওয়ার কিছু সহজ উপায় বা কার্যকরি পন্থা
কিছু মানুষ আছেন যারা অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, তারা অনেক বেশি বুদ্ধিও রাখেন। তবে স্মার্টনেস বা বুদ্ধিমত্তা মানুষের পরিবেশ, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য উৎস থেকে গড়ে ওঠে। তারপরও বিশেষজ্ঞরা চটজলদি নিজেকে স্মার্ট করে তুলে ধরার কিছু বৈজ্ঞানিক পন্থার খোঁজ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষমতার প্রদর্শনও ঘটাতে পারবেন।প্রথমে কিছু ছোট বিষয় যেনে নেয়া যাক আমার ব্যাক্তিগত ধারনা থেকেঃ
১. কথা বলার সময় অতিরিক্ত ভঙ্গিমা না দেখানো।
২. যখন সবাই চুপ করে কারও কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে তখন আপনি বেখেয়াল হয়ে বা ইচ্ছে করে সবার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বা মনোযোগ নষ্ট করার জন্য এমন কিছু করবেন না, যা আপনাকে সবার কাছে বিরক্তিকর হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে।
৩. হুট করে ইংরেজি শব্দ দিয়ে কাউকে ছোট করতে চেষ্টা না করা।
৪. লেখার ক্ষেত্রে বানানের সঠিকতা মেনে চলা।
৫. চলার ক্ষেত্রে পুরো রাস্তা জুড়ে না হাঁটা বা অন্য কারও দিকে এমন ভাবে না তাকানো যা ওই পথচারীকে দ্বিধায় ফেলে দেয়।
৬. কারও অতি গোপনীয় বিষয় সবার সামনে জানতে চেষ্টা না করা।
৭. নিজেকে সবার চেয়ে ছোট মনে করা এবং সুযোগ পেলে নিজের অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সত্যকে রিপ্রেজেন্ট করা।
এছাড়াও, সত্যবাদী হওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা, হাসি মুখে কথা বলা, সিরিয়াস কোনো ব্যপারে ফানি মোডে না থাকা ইত্যাদি বহু দিক আছে যা আপনাকে স্মার্ট করে তুলতে পারে।
