কেনাকাটা  করার সময় যে ব্যাপার গুলো মাথায় রাখতে পারেন
তো আমি কিভাবে সকল গোপন তথ্যগুলো আপনাদের জানাতে পারি? 
যাইহোক , যা হবার হবে – বলে ফেলি – আসল তথ্য 
ব্যবসায়ীরা লাভ করার জন্যই ব্যবসা করে – হোক কম বা বেশি! 
তো অনেক ব্যবসায়ীরা অনেক পরিমাণে লাভ করে তাদের কথা আর কি বলবো 
আপনি যখন কোনো কিছু কেনার সময় দরদাম করতে যাবেন তখন ভাববেন আপনার কোনো লজ্জা শরম বলতে কোনো কিছু নাই 
তারা যতই দাম বলুক না কেনো আপনি তার বিরুদ্ধে থাকবেন।
আমার প্রপফাইলে একটা উত্তর আছে যে কিভাবে কাপড়ের দোকানদার তাদের কাপড়ের সংকেত নির্ধারণ করে – সেটা পড়লে আপনি সবকিছুই বুঝতে পারবেন – আমি নিশ্চিত যে আপনি ঠকবেন না কখনো ☺️
তো মূল কথায় আসি !
ধরেন একটা টিশার্ট আপনার পছন্দ হয়েছে বেশ ভালো মানের মাশাআল্লাহ !
সেটার দাম চাওয়া হলো মাত্র 1200/- টাকা 
আপনি দাম শুনে 1 মিনিট নিরবতা পালন করবেন।
তারপর আপনি চিন্তা করবেন যে এটাকি আদৌ 500 টাকার পন্য নাকি 400 টাকার নাকি 700 টাকার 🤔
কাপড়ের কোয়ালিটি যদি বলে নাহ বেশ ভালোই 
তাহলে বলবেন যে ভাইয়্যা 400 টাকা দিয়ে দেই , কেমন? 
একথা শুনে দোকানদার আপনাকে অনেক কিছু বলবে – যা আপনি শুনেও না শুনার ভান করবেন।
তারপর বলবেন – কি ভাইয়্যা দিবেন না নাকি? 
সে বলতে পারে কোথায় 1200 আর কোথায় 400 টাকা 
আপনি বলবেন তাহলে আপনি দিচ্ছেন নাহ? 
আচ্ছা ঠিক আমি যাই তাহলে!
আপনি দোকান থেকে বেড়িয়ে আসার ভাব করবেন – তারপর তারা আপনাকে ডাক দিবে যে – আপনি কত হলে নিতে পারবেন বা আপনি একেবারে কত দিতে পারবেন?
তখন আপনি বলবেন এইতো 400 টাকা দিতে পারবো!
তারা বলবে – এর থেকে বেশি হলে নিয়েন।
তারপর আপনি 20/50 টাকা বাড়াবেন যেমন 420/450 টাকা।
এরপর বুঝতে পারবেন তারা কি চায় !
হয়তো বা তারা আপনায় একদাম বলে দিবে বা আপনাকে বাড়তে বলবে।
যদি একদাম বলে আর যদি না বলে আপনি বলবেন যে আপনারা একদাম কত হলে দিবেন?
যদি বলেই ফেলে তাহলে তো ছক্কাটা দিবেন 
যদি বলে যে একদাম 900 টাকা
আপনি বলবেন যে 500 টাকা হলে প্যাকেট করতে পারেন।
যদি তাদের কিছু হলেও লাভ হয়
তাহলে তারা একটু জোরাজোরি করবে দাম বাড়ানোর জন্য – আর আপনি তো আবার এককথার মানুষ – যা বলেছেন তাই !
যদি এতেও না হয় তাহলে বেড়িয়ে আসার ভান করবেন
হয়তো বা তখন তাদের ডাকে আপনি পণ্যটি পেয়ে যাবেন। 
যদি দোকানীদের কিছু হলেও লাভ হয় তাতেও তারা দিতে বাধ্য।
ঠিক এমনভাবে আমি পণ্য কিনে থাকি আর লাভবান হই 
আবার আমরা যখন পণ্য বিক্রি করি
তখন কিছু লাভ হলেই চাই যে আরো কিছু লাভ হলেই দিয়ে দিব আর যদি আরো কিছু না দেয় তাহলে ও দিয়ে দিব – তবে কাস্টমারে কাছে চাইতেই থাকবো যদিও দিয়ে দেয় 😀 তাহলে তো আমাদেরই লাভ।
আসলে আমি একজন কাপড় ব্যবসায়ীর ছেলে
তাই এ বিষয়ে আমার অনেক বড় অভিজ্ঞতা আছে 
স্বাভাবিকভাবে এই কথাগুলো কেউ আপনাকে বলতে চাইবে নাহ 
আমি বললাম যেন আপনারা পণ্য কিনতে গিয়ে না ঠকেন! 

আপনি তো বেশ বুদ্ধিমান –

আসলে এই সংকেতগুলো থাকে গোপন !

এখানে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়

L1345020

এখানে L দিয়ে মালিকের নামের প্রথম অক্ষর 

1 মানে মালিক একজনই 

3 মানে 3 এর পরবর্তী সং্খ্যা 3 দিন দিয়ে ভাগ তবে শেষের 20 সং্খ্যাটি এমনিতে দেওয়া হয়েছে যাতে যে কেউ দাম আন্দাজ না করতে পারে 

450/3 = 150 টাকা হচ্ছে ক্রয়মূল্য !!!

♦ সকল গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলাম আজ ♦

আসলে আপনি যেভাবে আপনার দামের সংকেত দিতে পারেন !

অনেকে আবার আসল দামের সাথে কিছু পরিমাণ টাকা বেশি দেন – যেমন একটা প্রোডাক্ট এর আসল দাম 100 টাকা এর সাথে 50 টাকা বেশি লেখা হলো 

এটা নির্ভর করে কে কতটুকু ক্রিয়েটিভ !

ভালো থাকবেন !

নিজের ও পরিবারের সবার খেয়াল রাখবেন – আল্লাহ হাফেজ !

জাযাক আল্লাহু খাইরান 

বি:দ্র: আমি একজন কাপড় ব্যবসায়ীর ছেলে আলহামদুলিল্লাহ্‌ !

সম্পাদনা : এই সংকেত বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় 

অনেকে ভাববেন এখন তো আমি অনেক কম দামে কাপড় ক্রয় করতে পারবো 

আরে বস ☺️

আপনি যতই সংকেত জানুন না কেন – ব্যবসায়ীরা তাদের পরিমাণ নির্ধারীত দাম রাখবেই 

দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আপনাদের জন্য ☝️❤️ সুন্দর হোক আপনার ইদের কেনাকাটা

Read More:

অতীত ভোলার উপায় কী? কষ্ট কমানোর জন্য কি কি করতে হবে?

মানুষ সৃষ্টি মাটি থেকে, কোরআন এবং বিজ্ঞান এর প্রমাণ ও ব্যাখ্যা

তো আজকে এই পর্যন্তই
ধন্যবাদ – আল্লাহ হাফেজ ❤️
এই লেখাটি পড়লে আপনি আর কখনোই কেনাকাটা করতে গিয়ে ঠকবেন না ইনশাআল্লাহ –
লেখা -মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মেহেদী
%d bloggers like this: