বেশ কিছু দিন পরই আসছে মাহে রমজান। সবাই খুশি থাকলেও মেয়েদের মনের কোথাও না কোথাও একটা ভয় থাকবেই।
ভাবছেন কিসের ভয়.
তাহলে শুনুন.
রমজানের প্রথম দিন থেকেই মেয়েদের ইনবক্সে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়ে যায়,যারা কখনো খোঁজ ও নেয়নী তারা ও খোঁজ নিতে উঠে পরে লাগে।
তাদের একটাই প্রশ্ন রোজা আছো?
হয়ত কোন মেয়ে পিরিয়ড নিয়ে বলে “হা”
অথবা অনেকে বলে “না” “পেট ব্যাথা ” তাহলে হেঁসে লুটিয়ে পরে।
আচ্ছা, এটা কী মজা করার বিষয়?
এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার বিষয়?
তাদের মা, বোন দের কী পিরিয়ড হয় না? তখন ও কি মা বা বোন কে প্রশ্ন করে ” মা রোজা রাখসো?”
একটা মেয়ে কতটা কষ্ট করে সেই দিন গুলোতে কেউ জানে? না জানতে চেয়েছে?
অসহ্য রকম পেট ব্যাথা নিয়ে এক গাল হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
যে পেট ব্যাথা একটি পুরুষের হলে সে হয়ত এরোকম প্রশ্ন করতেই ভয় পেতো।
একবার ভাবুন যে মেয়েটা অল্প কিছুতে ভয় পেয়ে যায় সে মাসে ৩-৭দিন অসহ্য ব্যাথা ব্লিডিং সহ্য করে।
একজন মুসলিম মেয়ের জন্য রমজান কতটা ইম্পরট্যান্ট, কিন্তু পিরিয়ড জন্য রোজা,নামাজ,কোরআন এইসব এবাদত বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবারের অন্য সদস্য যারা এবাদত করছে,সেখানে একজন মেয়ে অসহ্য ব্যথা নিয়ে মানুষের কথা শুনতে হচ্ছে!! কেন???
“এটা তো মুসলিম নারীর জন্য অনেক কষ্টদায়ক। “
কখনো আপনার পিরিয়ড হলে ২-৩ দিন তাহলে বুঝতে পারতেন।।
এই পিরিয়ড জন্য আপনি আমি দুনিয়াতে এসেছি, এটা না হলে হয়তো আপনার আমার অস্থিত পৃথিবী থাকত না।
দয়াকরে এবার রমজানে কেউ কোন মেয়েকে এই প্রশ্নটা করবেন না।।
সম্মান করতে শিখুন মেয়েদের
সে তার পুরো যৌবন ত্যাগ করে কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়া শুধুমাত্র তার পরিবার স্বামী ও সন্তানের জন্য ।
একবারও কি নিজের বোন, মার কথা ভেবেছি? ভাবিনি!
মেয়েদের সম্মান করতে না
পারেন অন্তত  অসম্মান করবেন না।
কথাগুলো খারাপ লাগছে প্লিজ মাফ করবেন।
সবাইকে মাহে রমজান ও ইদের এর শুভেচ্ছা
ভা্লো লাগলে শেয়ার করবেন এবং ফেসবুকে ফলো করতে ভুলবেন না